আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) তাকে গ্রেফতার করে।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যাসহ অনেকগুলো মামলা আছে। গ্রেফতারের পর তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) তাকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন। ওই সময় থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন কামরুল ইসলাম। শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার সদস্য ও আওয়ামী লীগের অনেক নেতাও আত্মগোপনে যান। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন এরই মধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন। আবার অনেকে দেশ ছেড়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কামরুল ইসলামকে গ্রেফতারের কথা জানাল পুলিশ।
কামরুল ইসলাম ১৯৫০ সালের জুনে ঢাকার মোহাম্মদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বারে যোগদানের মাধ্যমে আইন পেশা শুরু করেন। পরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৬-২০০১ সালে দায়িত্ব পালন করেছেন ঢাকার পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে।
১৯৬৯ সালে ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা ও ১১ দফা ভিত্তিক গণআন্দোলনে অংশ নেন কামরুল ইসলাম। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে তিনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা পালন করেন। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কামরুল ইসলাম ঢাকা-২ আসন (সাভার-কেরানীগঞ্জ-কামরঙ্গীরচর) থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য হন। এসময় তিনি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান।
২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে একই এলাকা থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হন। ২০১৪ সালে তিনি খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন। খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পচা গম কিনে সমালোচনার মুখে পড়েন।
কামরুলের বড় ভাই হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম; যিনি মুক্তিযুদ্ধকালে নেজামে ইসলামি পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ছিলেন এবং ঢাকায় প্রথম শান্তি কমিটি গঠন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় কামরুল ভাইয়ের মালিকানাধীন প্রিন্টিং প্রেসে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন।
এ ছাড়া শেখ মজিবুর রহমানসহ পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনকারী তথা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তিনি ‘ইবলিশের দিনলিপি’ নামে সাপ্তাহিক বিশেষ সম্পাদকীয় প্রকাশ করতেন।
পিপলনিউজ/আরইউ
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            