বিশেষ এক পরিস্থিতিতে ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানেই থাকবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত একান্তই তাঁর ওপর নির্ভর করছে।বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
শনিবার (৬ডিসেম্বর)নয়াদিল্লিতে হিন্দুস্তান টাইমসের লিডারশিপ সামিটে এনডিটিভির সিইও ও প্রধান সম্পাদক রাহুল কানওয়ালের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ভবিষ্যতে উন্নতির আশাও প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। তার পর থেকে সেখানেই রয়েছেন তিনি। আন্দোলন দমনে হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে গত মাসে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। এরপর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তাঁকে ফেরত পাঠাতে অনুরোধ করলেও নয়াদিল্লি কোনো সাড়া এখনো দেখায়নি।
রাহুল কানওয়াল হিন্দুস্তান টাইমসের লিডারশিপ সামিটে নানা বিষয়ে আলোচনার ফাঁকে জয়শঙ্করের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, শেখ হাসিনা যতদিন চান ততদিনই ভারতে থাকতে পারবেন কি না? জবাবে জয়শঙ্কর প্রথমেই বলেন, ‘আচ্ছা, এটি একটা ভিন্ন বিষয়, তাই না?’
এরপর তিনি বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে এখানে এসেছিলেন। আমি মনে করি, সেই পরিস্থিতির স্পষ্ট প্রভাব এই ঘটনার (ভারতে আশ্রয় নেওয়া) ওপর ছিল। আবার শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটা তাঁকে নিজেকেই নিতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান নেওয়ার পর প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে।
এ নিয়ে এনডিটিভর প্রধান সম্পাদক রাহুল কানওয়ালের প্রশ্নে জয়শঙ্কর বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে নয়াদিল্লির অবস্থান তুলে ধরেন।
‘আমি নিশ্চিত যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফলাফল যা–ই আসুক না কেন, তা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্যপূর্ণ ও পরিপক্ব দৃষ্টিভঙ্গির হবে। আশা করি, পরিস্থিতির উন্নতি হবে,’ বলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আমারবাঙলা/এসএ