মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগপর্যন্ত বিএনপি কিংবা জামায়াত-উভয়ের সঙ্গেই আসন সমঝোতার সুযোগ খুলে আছে বলে মনে করছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতারা। যদিও বিএনপি ইতিমধ্যে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৭২টিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে এবং এনসিপির শীর্ষ নেতাদের সম্ভাব্য আসনগুলোতেও প্রার্থী দিয়েছে, তবু এনসিপি মনে করছে-চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে পরিবর্তনের সম্ভাবনা এখনও রয়েছে।
এনসিপি নেতাদের মধ্যে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম (ঢাকা–১১) ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন (রংপুর–৪)সহ শীর্ষ পর্যায়ের আটজন নিজ নিজ এলাকায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিএনপি প্রথম তালিকায় ঢাকা–৯ ও ঢাকা–১৮-এ প্রার্থী না দিলেও ৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ওই দুটি আসনেও প্রার্থী ঘোষণা করে। এতে সমঝোতার সম্ভাবনা কমেছে বলে অনেকে মনে করলেও এনসিপির শীর্ষ নেতারা বলেন, মনোনয়ন প্রত্যাহারের আগপর্যন্ত কিছুই শেষ নয়।
অন্যদিকে জামায়াতের সঙ্গেও সমঝোতা বা নির্বাচনী জোটের বিষয়টি এনসিপিতে আলোচনায় আছে। গত অক্টোবরের নির্বাহী সভায় দলের একটি অংশ জামায়াতের সঙ্গে জোটের পক্ষে মত দেয় এবং এখনো সেই অবস্থানে রয়েছে। ইসলামপন্থী দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনাও চলছে—জোটে গেলে লাভ–ক্ষতি কী হতে পারে, তা মূল্যায়ন করছেন নীতিনির্ধারকেরা।
এছাড়া বিএনপি–জামায়াতের বাইরে এবি পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও গণ অধিকার পরিষদকে নিয়ে গঠিত নতুন একটি জোটে যুক্ত হওয়ার আলোচনাও হয়েছিল এনসিপির। তবে শেষ মুহূর্তে বিভিন্ন দলের মতবিরোধ ও ‘আপ বাংলাদেশ’কে জোটে রাখার প্রস্তাব নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় এ উদ্যোগ এগোয়নি। সংশ্লিষ্ট নেতাদের মতে, এই জোট গঠনের সম্ভাবনা এখন খুবই কম।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, দল এককভাবে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তবে মনোনয়ন প্রত্যাহারের আগপর্যন্ত বিভিন্ন দলের সঙ্গে সমঝোতার পথ খোলা থাকবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ৩০০ আসনে এনসিপির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
আমারবাঙলা/এসএ