নিজস্ব প্রতিবেদক: শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, প্লাস্টিক খাতে সরকার অব্যাহতভাবে সহায়তা দেবে। আপনারা যেসব সহায়তা পাচ্ছেন সেগুলো অব্যাহত থাকবে, আগামীতে প্লাস্টিক খাতকে আরও এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো। এ সরকারের আমলে আপনারা সব সহায়তা পাবেন।
বুধবার বসুন্ধরায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে (আইসিসিবি) আয়োজিত চারদিনের ১৬তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী।
তিনি বলেন, নতুন সরকার গঠনে এবার শিল্প ও বাণিজ্য মিলে একটি ভালো টিম হয়েছে। একসঙ্গে কাজ করে আমরা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবো বলে আমি বিশ্বাস করি। ভবিষ্যতে আমরা যে জায়গায় পৌঁছাতে চাই, দ্রুতই সেখানে পৌঁছাতে পারবো।
দেশের অর্থনীতিতে প্লাস্টিক শিল্প বিরাট অবদান রাখছে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বাজার পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পণ্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে নতুন নতুন উন্নত মানের পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সেজন্য প্লাস্টিক শিল্প নগরী হচ্ছে, মুদ্রণ শিল্প নগরী হচ্ছে। যেসব সমস্যা সবকিছু দুর করার প্রচেষ্টা আমাদের রয়েছে।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এ সরকার পণ্য বহুমুখীকরণে জোর দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্লাস্টিক সেক্টর প্রচণ্ড সম্ভাবনাময়। আপনাদের জন্য যে নীতি সহায়তা প্রয়োজন আমরা সেটা দেবো।
তিনি বলেন, তবে প্লাস্টিকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এ সেক্টর পরিবেশবান্ধব নয়। ফলে কীভাবে এ খাতটি পরিবেশের ক্ষতি না করে আরও এগিয়ে যেতে পারে সে বিষয়ে গবেষণা বাড়ান। নিজস্ব উদ্ভাবনী প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে গুণগত পণ্য উৎপাদন করুন।
বিপিজিএমইএ’র সঙ্গে ইয়র্কারস ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিসেস কোম্পানি লিমিটেড যৌথভাবে মেলার আয়োজন করে। মেলায় দেশ-বিদেশের ৬৫৪টি প্রতিষ্ঠানের ৯৬১টি স্টল রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক পণ্যসামগ্রী ও প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনের প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রদর্শন করছে এক আঙিনায়।
মেলায় প্লাস্টিক খাতের যন্ত্রপাতি, মোল্ড, কাঁচামাল উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী দেশি-বিদেশি ৬৫৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এরমধ্যে ২০টি দেশের ৬০০ কোম্পানির ৮০০ স্টল এবং দেশীয় ৫৪টি কোম্পানির ১৬১টি স্টল এ মেলায় অংশ নিয়েছে।
মেলায় মোট ১৫টি শ্রেণিতে ভাগ হয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিচ্ছে। এরমধ্যে রয়েছে গৃহস্থালি পণ্য, ক্রোকারিজ, প্যাকেজিং উপকরণ, প্লাস্টিক মোল্ড, খেলনা, ফার্মাসিউটিক্যালস, আসবাব, মেলামাইন, তৈরি পোশাক উপকরণ, পিপি ওভেন ব্যাগ, অটোমোবাইল এবং ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক পণ্য।
বিপিজিএমইএ বলছে, বর্তমানে দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে প্লাস্টিক পণ্যের অবস্থান ১২তম। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৬ কোটি ৬২ লাখ মার্কিন ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২০ কোটি ৯৮ লাখ ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়েছে। অর্থাৎ এক বছরে প্লাস্টিক রপ্তানি বেড়েছে ২৬ দশমিক ২৩ শতাংশ।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের ১২৬টি দেশে বাংলাদেশে তৈরি প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            