সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রতিবাদে আজ রোববার সকাল থেকে আগামী মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত টানা তিনদিনের জন্য ভাঙ্গায় মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন এই আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিক মিয়া। এর আগেই তাকে গভীররাতে পুলিশ আটক করেছে বলে জানা গেছে।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নগরকান্দা থানার চাঁদহাট ইউনিয়ন থেকে তাকে আটক করে ফরিদপুর জেলা ডিবি পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন।
তিনি জানান, আলগী ইউপি চেয়ারম্যানকে ভাঙ্গা থানার পুলিশ আটক করেননি। তাকে জেলার ডিবি পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। কী কারণে তাকে আটক করা হয়েছে সে বিষয়ে দুপুরের আগে জানাবেন বলে জানান ওসি।
এদিকে আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক তৌহিদুর রহমান বুলবুল ও পলাশ মিয়া জানান, চেয়ারম্যান সিদ্দিক মিয়া গত শনিবার আলগী ইউনিয়ন পরিষদে সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেন। এরপর নগরকান্দা থানার চান্দ্রা ইউনিয়নে তার বোনের বাড়ি থেকে রাত ২টার দিকে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। কী কারণে চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়েছে সে বিষয়ে তারা কিছু জানেন না। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।
আলগী ইউনিয়নের বাসিন্দা মেজর প্রকৌশলী অব. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি আলগী ইউনিয়নের একজন সন্তান হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। অখণ্ড ভাঙ্গা উপজেলা রক্ষার দাবিতে চলমান আন্দোলনের অন্যতম নেতা সিদ্দিক মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
অন্যদিকে গতকালের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রবিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভাঙ্গায় মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। যা চলবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত। গত শনিবার বিকেল ৫টায় উপজেলার আলগী ইউনিয়ন পরিষদে এক সংবাদ সম্মেলনে এ নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীদের প্রধান সমন্বয়ক আলগী ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিক মিয়া।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুর-৪ আসনটি (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) উপজেলা নিয়ে গঠিত। আর নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা ছিল ফরিদপুর-২ আসনে। কিন্তু গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী, ফরিদপুর-৪ আসনের হামিরদী ও আলগী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করে সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারণ করা হয়। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর থেকেই ফুঁসে ওঠেন ভাঙ্গার আন্দোলনকারীরা। দুই ইউনিয়নকে ফিরে পেতে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
আমারবাঙলা/জিজি