রাজনৈতিক দল গঠন বা পদত্যাগ নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) তথ্য ভবনে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠন হয় অন্তর্বর্তী সরকার। উপদেষ্টা পরিষদে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে স্থান পেয়েছেন ৩ জন।
এ ছাড়াও, ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠন হয় জাতীয় নাগরিক কমিটি। এর পর শুরু হয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটি মিলে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া।
সরকারে থেকে ছাত্র প্রতিনিধিরা রাজনৈতিক দল গঠনে যুক্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ করে বিএনপি। এতে আগামী নির্বাচন কতটা নিরপেক্ষ হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন দলটির শীর্ষ নেতারা।
সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দল আসছে। এসে মহাসচিবের দায়িত্ব পেতে পারেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। নতুন দলে জায়গা করে নিতে নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করছেন বলেও দাবি করা হয় প্রতিবেদনটিতে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, ‘রাজনৈতিক দল গঠন বা পদত্যাগ নিয়ে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। এ ধরনের সংবাদ প্রচারে আরো দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।’
আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার সুযোগ থাকা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তথ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার সুযোগ থাকা উচিত না। যারা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিল না, তারা সাধারণ ক্ষমা পেতে পারেন। যেকোনো আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে ফ্যাসিবাদের দোসর সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করলে সরকার কঠোর হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র ইস্যুতে বিএনপি দেরি করছে, তারা আরও সময় চাইছে।’
এর আগে অনুষ্ঠানে ১২৭ সাংবাদিক ও তাদের পরিবারকে ৭৯ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়।
তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শহিদ ও আহত সাংবাদিকদের পাশে থাকবে সরকার। তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হবে। গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের ভূমিকা কি ছিল, তা নিয়ে আরও বেশি আলোচনা করা প্রয়োজন। সাংবাদিকদের ভেতর থেকেই এই আলোচনা হওয়া উচিত।’
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কিছু সাংবাদিক অপ্রচার চালাচ্ছে বলেও দাবি করেন এই উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে মিসইনফরমেশন, ডিজইনফরমেশন ছড়ানো হচ্ছে। গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের কর্মকাণ্ড নিয়ে সংশ্লিষ্ট হাউজের কথা বলা উচিত, ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
নির্বাচনের আগে সংস্কার প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কারের ভিত্তি তৈরি করতে চাই। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে। তবে বিচার নিয়ে বেশি কথা বলা উচিত এখন। শেখ হাসিনার বিচার অবশ্যই করা হবে, রিকন্সিলিং সম্ভব হবে এভাবেই। নৈতিকতা বাদ দিয়ে গণহত্যায় যারা ভূমিকা রেখেছে, তাদের সামাজিক বিচার হওয়া উচিত। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ভিন্নমত থাকতে পারে, কিন্তু ঐক্য আছে।’
আমারবাঙলা/জিজি
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            