নিজস্ব প্রতিবেদক: গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশ কঠিন অবস্থার মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে মুক্ত হওয়ার একমাত্র পথ হলো ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই চলমান সংকট থেকে মুক্তির একমাত্র উপায়।
রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। তার ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গণফোরাম। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, রাজনৈতিক সহযোদ্ধা, লেখক-সাংবাদিক ও শুভানুধ্যায়ীদের ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি।
বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, যে কঠিন অবস্থার মধ্যে দেশ এবং জাতি পড়ে গেছে, সেখান থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হল ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে যারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের সবাইকে এখানে পাচ্ছি। আসেন আজকে আমরা সিদ্ধান্ত নিই, সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দিই এবং মাঠে নামি।’
সংকট থেকে মুক্তির একমাত্র পথ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন: ড. কামাল হোসেন
এসময় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) উপদেষ্টা খালেকুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ এখন অন্ধকারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন অন্ধকারের মধ্যে আছি। এ গভীর অন্ধকার রাত প্রায় শেষের দিকে। রাত যত গভীর হয় সকাল তত কাছে আসে। আগামী দিন দ্রুতসময়ে আসতে পারে।
ড. কামাল হোসেনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ডা. কামাল হোসেন এখন পর্যন্ত সবার কাছে প্রাসঙ্গিক। তার দিকে আঙুল তুলতে পারে এমন কেউ এ দেশে নেই। কেউ বলতে পারবে না তিনি চুরি করেছেন, সন্ত্রাসী কাজ করেছেন। আমি তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমাদের এখানে গুণী মানুষের কদর নেই। এমন একটি সময়ে আমরা বসবাস করছি, যেখানে ব্যতিক্রম ছাড়া কেউ সম্মান নিয়ে বাঁচতে পারেন না। ড. কামাল হোসেন আমাদের ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনে যারা ভূমিকা রেখেছেন তার মধ্যে একজন কামাল হোসেন। এগুলো ইতিহাসের অংশ। কিন্তু আওয়ামী লীগ ড. কামাল হোসেনকে ধারণ করতে পারেনি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ছাত্র রাজনীতি করার সময় তাকে শাসক দলের রাজনীতিবিদ বলে মনে হয়েছে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই মনোভাব পরিবর্তন হয়েছে। তিনি শাসক শ্রেণির মধ্যে থাকলেও জনগণের জন্য সোচ্চার ছিলেন। তিনি ইতিহাসের তাৎপর্যপূর্ণ ব্যক্তি। বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে থেকেছেন। তার কর্ম দেশের মানুষ মনে রাখবে।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নাগরিক কণ্ঠের প্রতিনিধি হওয়ার ক্ষেত্রে ড. কামাল হোসেন সবসময় আমার পাশে থেকেছেন, আমাকে সাহস যুগিয়েছেন।
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            