লাইফস্টাইল ডেস্ক: খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে জীবনকে উন্নত করার জন্য নিজেকেই চেষ্টা করতে হবে। নিজেকে যে স্থানে নিয়ে যেতে চান, সেখানে যাওয়ার সংক্ষিপ্ত কোনো পথ নেই। এর জন্য প্রয়োজন প্রচেষ্টা, সময় এবং ধৈর্য। আপনি হয়তো বিভিন্নভাবে নিজের সৃজনশীলতা বিকাশের চেষ্টা করেন, আরও কর্মমুখী হয়ে উঠতে চান। কিন্তু তা বাস্তবায়নের জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায় না।
পাঁচটি অভ্যাসের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা রয়েছে, যেগুলো মেনে চললে নিজেকে ভালো রাখা সহজ হয়। যেগুলো জীবনকে উন্নত করতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১) ভোরে ঘুম থেকে ওঠা এবং হাঁটা:
সঠিকভাবে সকাল শুরু করলে সারাদিন ভালো কাটে। অ্যালার্ম বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তা স্নুজ করবেন না, বরং খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠুন। আপনার বিছানা ছেড়ে রোদে গিয়ে দাঁড়ান। সকালের সূর্যের আলো শক্তি বাড়াতে এবং অনিদ্রা কমাতে কাজ করে। ভোরে হাঁটাও একটি ভালো অভ্যাস। হাঁটলে এন্ডোরফিন নিঃসরণ হয়, এই হরমোন আমাদের মন ভালো রাখতে কাজ করে। হাঁটার সময় তিনটি জিনিস সম্পর্কে চিন্তা করুন যার জন্য আপনি কৃতজ্ঞ, তিনটি জিনিস যেগুলো আপনি অর্জন করতে চান এবং তিনটি পরিবর্তন যা নিজের ভেতরে দেখতে চান।
২) প্রতিদিন নতুন কিছু করুন:
কাজ করতে যাওয়া, ফিরে আসা, খাওয়া এবং ঘুমানোর একই একঘেয়ে অভ্যাসের সঙ্গে আপনার জীবন কতটা বিরক্তিকর তা নিয়ে আপনি বারবার চিন্তা করেন? চক্রটি চলতে থাকে এবং আপনি একদিন অবসর পাবেন সেই আশায় বসে থাকেন। এভাবে অপেক্ষা না করে ছোট ছোট মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে শিখুন। প্রতিটি নতুন দিন নতুন কিছু দিয়ে শুরু হোক। কোনো আফসোস জমিয়ে রাখবেন না, বরং যতটুকু সময় পান তা কাজে লাগাতে চেষ্টা করুন। একঘেয়ে জীবনের বাইরে বের হয়ে আড্ডা দিন, বেড়াতে যান, বাইরে কোথাও খেতে যান বা নিজের পছন্দের যেকোনো কাজ করুন। এতে আপনি আরও বেশি সতেজ ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবেন।
৩) আকর্ষণীয় থাকুন:
তাড়াহুড়ো করে ঘর থেকে বের হবেন না। নিজেকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করতে জানা একটি বড় গুণ। কোনো রকমে তৈরি হয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার অর্থ মানে এই নয় যে আপনি কাজের ক্ষেত্রে খুব সিরিয়াস। বরং এতে প্রমাণ হয় যে আপনি নিজের প্রতি উদাসীন। পোশাক ও অন্যান্য এক্সেসরিজের দিকে মন দিন। প্রতিদিন গোসল করুন, মানানসই পোশাক পরে পরিপাটি হয়ে বাসা থেকে বের হোন।
৪) স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিন:
জীবনে লক্ষ্য অর্জনের জন্য আপনাকে সুস্থ থাকতে হবে। সারাদিন ক্লান্ত থাকার মানে হলো আপনার শরীরে শক্তির অভাব। ঘুম ভালো না হওয়া এর অন্যতম কারণ। ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার স্ক্রিন টাইম কমিয়ে আনুন, এর পরিবর্তে একটি বই পড়ুন, এটি আপনাকে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করবে। নিয়মিত শরীরচর্চা করার চেষ্টা করুন। এসব অভ্যাস আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি জীবনে উন্নতি করতে সাহায্য করবে।
৫) অগ্রাধিকারের তালিকা তৈরি করুন:
আমাদের জীবনের কিছু ক্ষেত্রে বেশি মনোযোগের প্রয়োজন, প্রত্যেকের জীবনে কিছু সমস্যা রয়েছে যা সমাধান করা দরকার। কিন্তু আমরা আমাদের ক্যারিয়ার তৈরি করতে ব্যস্ত থাকার ফলে সেগুলোতে মনোযোগ দিতে ভুলে যাই। যত ব্যস্ততাই থাকুক, সঙ্গী, বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রাখার চেষ্টা করতে ভুলবেন না। আপনার আর্থিক দিক উন্নত করার পাশাপাশি মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। এক্ষেত্রে উদাসীন হলে নিরাময়ের পরিবর্তে শরীর আরও খারাপ হয়ে যাবে। হয়তো এমন কোনো সমস্যা দেখা দেবে যার নিরাময় নেই। তাই এই বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিন এবং সেগুলো নিয়ে কাজ করুন।
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            