সাজু আহমেদ : বাংলাদেশের ক্রীড়া জগতে কিংবদন্তীতুল্য ব্যক্তিত্ব ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত। দেশবরণ্যে এই ক্রীড়া ব্যক্ত্বিত্ব এক সময় শোবিজেও কাজ করেছেন। বিভিন্ন পণ্যের প্রচারে মডেল হিসেবেও তাকে দেখা গেছে। তিনি কাজ করেছেন মিউজিক ভিডিওতে। প্রতীক-প্রীতম দুই ভাইয়ের আয়োজনে ‘বেয়াইন সাব’ গানের ভিডিওতে সিয়াম আহমেদ, জাহিদ হাসানদের সঙ্গে মডেল হয়েছিলেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি নতুন করে আলোচনায় এসেছেন। সংবাদপত্রের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সেই আলোচনার রেশ কাটতে না কাটতেই জানা গেল নতুন চমক লাগা তথ্য। চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত স্বয়ং চমকপ্রদ তথ্য দিলেন। তিনি বলেন, ‘খেলাধুলা নিয়ে সিনেমা তৈরি করতে চাই আমি। সেটা ক্রিকেট, ফুটবল বা যে কোনো খেলাই হতে পারে। এদেশে খেলাধুলা নিয়ে খুব বেশি নির্মাণ হয়নি। আমি তৈরি হচ্ছি। গল্প বাছাই চলছে। কিছু তথ্যচিত্রও তৈরি করতে চাই। এই প্রজন্মের জন্য আমাদের অনেক কিছু করার আছে বলে মনে করি। আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে চাই।’ তার এই ঘোষণায় সিনেমা সংশ্লিষ্টরা বেশ উচ্ছ্বসিত। এই ঘোষণায় তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রসঙ্গত, এদেশের ক্রিকেট যখন একটু একটু করে বিশ্বমঞ্চে জায়গা করে নিচ্ছে তখন একটি কণ্ঠ বেতারের মাধ্যমে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। অনেকটা এমনও বলা চলে দেশে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার পেছনে তার কণ্ঠের অবদানও কম নয়। তাই বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা যখন আইসিসি স্ট্যাটাস নিয়ে দেশে ফিরলো তখন তাদের পাশাপাশি ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাতও বীরের সংবর্ধনা পেয়েছিলেন রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। এদেশের ক্রিকেট তথা খেলাধুলার বাংলা ধারাভাষ্যকারদের গল্প যতদিন এ দেশের অলিতে গলিতে চলবে ততদিন সম্মানের সাথে উচ্চারিত হয় চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাতের নাম। তিনি চান, ধারাভাষ্যকারদের স্বীকৃতি দেয়া হোক। তার ভাষ্য, ‘যখন এদেশের ক্রিকেট ছোট গণ্ডিতে ছিল আমরা চিৎকার করে করে তাদের সাহস দিয়ে গেছি। সারাদেশের আনাচে-কানাচে তাদের পেঁৗছে দিয়েছি। আমাদের কণ্ঠের স্ফুলিঙ্গ থেকে ক্রিকেট-ফুটবলে তারকারা জ্বলজ্বল করতেন। তারা খেলতেন মাঠে, আমরা তাদের সঙ্গী হয়েছি কমেন্ট্রি বক্সে। তিনি আরও বলেন, তখন রাষ্ট্র আমাদেরও সম্মানিত করত, সমাদর করত। ১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রিকেটারদের পাশাপাশি আমাদেরকেও সংবর্ধনা দিয়েছিলেন। এখন কিন্তু আমাদের নিয়ে কারো তেমন মাথাব্যথা নেই। এই পেশায় স্বীকৃতিও মিলছে না। অর্থ, সুবিধা অন্যান্য পেশার তুলনায় খুবই কম। তাই এখানে পেশাদারিত্ব মজবুত নয়। নতুনরা আগ্রহী হচ্ছেন না।’ দীর্ঘ সময় ক্রিকেটে ধারাভাষ্য দেওয়ার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুনজর প্রত্যাশা করেছেন।
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            