রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানীতে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাসায় ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে স্থানীয় একদল লোক। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে ১২টার দিকে একদল লোক বাড়িতে আগুন দেয়। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। বাড়িতে প্রথমে ভাঙচুর করে পরে আগুন দেওয়া হয়। আগুনে চারতলা বাসার অধিকাংশ কক্ষ পুড়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ৪০০ থেকে ৪৫০ জন লোক একটি মিছিল বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে শাহরিয়ার আলমের বাসভবনের সামনে যায়। বাড়ির গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশে করে সবগুলো কক্ষে ভাঙচুর চালানো হয়। এর পর ১২টার দিকে বাড়িতে আগুন দেয়। এ সময় পুরো চারতলা ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়লে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আগুন লাগার প্রায় ঘণ্টাখানেক পর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে। দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে পুরো বাসভবনের অধিকাংশ কক্ষ আগুনে পুড়ে গেছে।
বাঘা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে সমন্বয় করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। নয়তো আশেপাশের অনেক বাড়িতেও আগুন ছড়িয়ে পড়তো।
বাঘা থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সারাদেশে যেভাবে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে- একইভাবে বিক্ষুব্ধ জনতা এসে এই বাড়িতে আগুন দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’
এ বিষয়ে শাহরিয়ার আলমের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কল করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বাবা মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, যারা সব জায়গায় এসব করছে তারাই আগুন দিয়েছে। সেখানে পুলিশ আছে। ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানতে পারিনি।
আমারবাঙলা/জিজি
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            