বেনাপোল প্রতিনিধি: দীর্ঘদিনের সুপ্ত বাসনা ও প্রবল ইচ্ছা এবং আন্তরিকতা দিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রুপার নৌকা তৈরী করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে চান যশোরের শার্শার ফরিদা পারভীন। ২০ বছর পরের বাড়িতে ঝিঁয়ের কাজ ও কাথা সেলাই করে পাওয়া পারিশ্রমিক মাটির ব্যাংকে জমা করা টাকা দিয়ে বানানো রুপার নৌকা দেখতে আসছেন অনেকেই। ফরিদা পথ চেয়ে বসে আছেন কবে ধরা পাবে স্বপ্নের ছোয়া।
বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভাল বেশে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সন্তষ্ট হয়ে একটি রুপার নৌকা বানিয়েছেন যশোরের শার্শা উপজেলার শিকারপুর গ্রামের ফরিদা পারভীন (৩৮)। নকশীকাঁথা শেলাই এর কাজ করেন ফরিদা। বৃদ্ধা মা রাশিদা খাতুন ও এক মেয়ে আলেয়া খাতুনকে নিয়ে ফরিদার সংসার। স্বামী আনিছুর রহমান দ্বিতীয় বিয়ে করে থাকছেন অন্য জায়গায়।
ফরিদার নৌকার কথা এখন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। তার বাড়িতে নৌকা দেখতে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। ফরিদার কাজে অভিভূত দর্শনার্থীসহ স্থানীয়রা।
শার্শার উত্তর সীমান্ত নারিকেল বাড়িয়া ও শিকারপুর গ্রামের সীমানা নির্ধারণী বেত্রবতী নদীর পাড়ে শিকারপুর অংশে খাস জমিতে একটি ঘর বেঁধে বসবাস করছে ফরিদা। নিজের সহায় সম্পদ বলতে এতটুকুই। তার কর্মকান্ডে খুশি হয়ে প্রশংসা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন ও নাভারন মহিলা কলেজের প্রভাষক আসাদুজামান আসাদ। ফরিদার বাড়িতে এ নৌকা দেখতে যান তারা।
ফরিদা পারভিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুরে ভালোবাসি। প্রধানমন্ত্রীরে ভালোবাসি। আমি বঙ্গবন্ধুকে মনেপ্রাণে ধারণ কইরা তার মেয়েরে একটা নৌকা উপহার দেবো। এটাই আমার জীবনের শেষ ইচ্ছা।
প্রধানমন্ত্রী আমার কাম দেখে খুশি হইব, তাতেই আমি খুশি। যে দিন দিতে পারব নৌকাটি স্বার্থক হবে ভালবাসা ও ভাললাগা।
শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক গোলাম মোস্তফা বলেন, ২০ বছর ধরে জমানো টাকা দিয়ে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক একটা রুপার নৌকা বানান ফরিদা। স্থানীয় এমপি ও আওয়ামীলীগের নেতাদের সহযোগিতায় গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি এই উপহারটি দিতে চান। বিষয়টি সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ বা প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ফরিদার মনের আশা পূর্ণহোক দৃষ্টিগোচর হোক প্রধানমন্ত্রীর এমনটাই আশা ফরিদাসহ এলাকাবাসির।
এবি/ওশিন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            