কক্সবাজারে পর্যটকবাহী জাহাজে নিরাপত্তা নিশ্চিতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে কোস্ট গার্ড।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দেশের সুবিশাল সমুদ্র, উপকূলীয় ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। পাশাপাশি জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা রক্ষায় বিভিন্ন ধরনের অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে কোস্ট গার্ড একটি দায়িত্বশীল ও ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলেছে।
সম্প্রতি ক্রু স্বল্পতা ও অনভিজ্ঞতার কারণে সেন্টমার্টিনগামী ‘দ্যা আটলান্টিক ক্রুজ’ এবং ‘এমভি কর্নফুলী এক্সপ্রেস’ পর্যটকবাহী জাহাজ চরে আটকে পড়ার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ২৭ ডিসেম্বর ‘দ্যা আটলান্টিক ক্রুজ’-এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও সংঘটিত হয়। এসব ঘটনায় পর্যটকদের জান-মালের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে ঝুঁকির মুখে পড়ে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব দেশের পর্যটন খাতের ওপর স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ মঙ্গলবার মধ্যরাত সাড়ে ৩টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কোস্ট গার্ড স্টেশন কক্সবাজার, জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ-এর সমন্বয়ে কক্সবাজারের নোনিয়াছড়া সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে পর্যটকবাহী জাহাজসমূহে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে জাহাজসমূহের রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সনদ, রুট পারমিট, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম এবং ক্রুদের দক্ষতা সনদ যাচাই করা হয়। পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় সচেতনতামূলক নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এছাড়াও, যাত্রীদের তালিকা সংরক্ষণ এবং জাহাজের নির্ধারিত ধারণক্ষমতা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত লাইফ সেভিং ইকুইপমেন্ট এর ব্যবস্থা এবং তা পরিধান নিশ্চিত করার পাশাপাশি জাহাজের ক্যাপ্টেন/মাস্টার ও ক্রুদের দায়িত্ব পালনে আরও সতর্ক ও সচেতন থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
অভিযান চলাকালীন জাহাজসমূহের ক্যাপ্টেন/মাস্টার ও ক্রুদের অসংগতি পরিলক্ষিত হলে তা সুরাহা করতে প্রচলিত বিধি অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কাজ চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পর্যটকদের সুরক্ষা ও ঝুঁকিমুক্ত ভ্রমণ নিশ্চিতে কোস্ট গার্ড এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
আমারবাঙলা/এনইউআ