ফেনীর পরশুরাম সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে খাল খনন করেছে ভারতীয়রা। শনিবার (১ জুন) বিকাল থেকে বল্লামুখা বেড়িবাঁধের পাশে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর সহযোগিতায় এ খাল খনন সম্পন্ন করে তারা। এ ঘটনায় পশুরাম এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।
এদিকে বিকাল ৪ টার দিকে বিএসএফের সাথে দ্বিপক্ষীয় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে মির্জানগর ইউনিয়নের পূর্ব রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে বল্লামুখার বেড়িবাঁধ থেকে প্রায় ১শ গজ উত্তরে ২১৫৭,১১-এস সীমান্ত পিলার সংলগ্ন স্থানে খাল খননের চেষ্টা করলে বিজিবি ও স্থানীয়দের বাধায় পিছু হটে বিএসএফ ও ভারতীয়রা। পরে রাতের আঁধারে কয়েকদিন ধরে তারা খালটি খনন করে।
বিজিবি সূত্র জানায়, বল্লামুখায় নতুন করে বাঁধ দেয়ার ফলে, বৃষ্টির পানি জমে ভারতের বিএসএফ ক্যাম্পসহ আশপাশের গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। এর আগে দক্ষিণ ত্রিপুরার বৃষ্টির পানি বাঁধের বিভিন্ন পরশুরাম সীমান্তে নোম্যান্সল্যান্ডেই ড্রেন দিয়ে নিষ্কাশন করা যায়। পূর্ব রাঙ্গামাটি গ্রামের বাসিন্দা মো. মজনু বলেন, খালটি কাটার কারণে আবারও বাংলাদেশে পানি প্রবেশ করবে। ২১৫৭,১১-এস সীমান্ত পিলারের সাথে একটি বাঁধ দেয়া হলে ভারতের পানি সীমান্তবর্তী গ্রাম পূর্ব রাঙ্গামাটি, পশ্চিম রাঙ্গামাটি ও নিজ কালিকাপুর গ্রামে প্রবেশ করবে না।
এদিকে নোম্যান্সল্যান্ডের ২০-৩০ মিটারে ড্রেন নির্মাণের বিষয়ে ক্যাম্প কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে বিষয়টি জানতে চাইলে বিএসএফ জানায়, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্যার পানি বা বাংলাদেশের বাঁধের ক্ষতি হবে না।
তারা খাল কাটার কারণে আবারও বাংলাদেশে পানি প্রবেশ করবে। ২১৫৭,১১-এস সীমান্ত পিলারের সাথে একটি বাঁধ দেওয়া হলে ভারতের পানি সীমান্তবর্তী গ্রাম পূর্ব রাঙ্গামাটি, পশ্চিম রাঙ্গামাটি ও নিজ কালিকাপুর গ্রামে প্রবেশ করবে। ভারত তাদের জায়গায় নতুন করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরি করছে, যেন অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা যাতে তৈরি না হয় ।
ভারতের সীমান্ত বাহিনী বিএসএফ, প্রতিবাদের এক পর্যায়ে তারা বলেন, বাংলাদেশও নোম্যান্সল্যান্ডে বাঁধ তৈরি করেছে এবং যার ফলে এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নিজ বিজিবির কালিকাপুর ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার হানিফ ও ভারতের পক্ষে আইসিনগর বিএসএফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোশারফ হোসেন বলেন, তাদের খাল খননের জায়গা নোম্যান্সল্যান্ডে হওয়ায় বিজিবি পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে। কাজ বন্ধ রয়েছে।
আমারবাঙলা/ইউকে