পাকিস্তানি মডেল ও অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের রহস্যজনক মৃত্যুর জট এখনো খোলেনি। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের মধ্যে নতুন তথ্য উঠে এল।
এক প্রতিবেদনে ডেইলি পাকিস্তান জানিয়েছে, হুমায়রা চরম আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন এবং মৃত্যুর আগে তিনি অন্তত দশজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন, যার মধ্যে তাঁর ভাইও ছিলেন।
গত ৭ অক্টোবর শেষবারের মতো তাঁর মুঠোফোন থেকে মেসেজ পাঠানো হয়েছিল। ভাইসহ অন্তত ১০ জনকে মেসেজটি পাঠিয়েছিলেন তিনি। মেসেজে লিখেছিলেন, ‘হ্যালো, আমি তোমার সঙ্গে কথা বলতে চাই।’ কিন্তু কোনো উত্তর পাননি তিনি।
মৃত্যুর ৯ মাস পর করাচির এক অ্যাপার্টমেন্ট থেকে হুমাইরা আসগরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে, তাঁর দেহ ছিল পচে নষ্ট হওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কালো হয়ে গিয়েছিল, মুখমণ্ডল অচেনা হয়ে গিয়েছিল এবং দেহের চারপাশে ছিল পোকামাকড়ের উপস্থিতি।
বিষয়টি নিয়ে তদন্তের মধ্যে এ পর্যন্ত পাঁচজনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। একটি বিশেষ তদন্ত দল মামলার পরিধি বাড়িয়েছে এবং মোট ৬৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
লাহোরের মেয়ে হুমাইরা ২০১৫ সালে মিডিয়ায় পথচলা শুরু করেন। ছোট পর্দায় ‘জাস্ট ম্যারেড’, ‘এহসান ফারামোশ’, ‘গুরু’ ও ‘চল দিল মেরে’র মতো সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন। বড় পর্দায় কাজ করেছেন ‘জালিবি’ ও ‘লাভ ভ্যাকসিন’ (২০২১) চলচ্চিত্রে।
২০২২ সালে এআরওয়াই ডিজিটালের রিয়েলিটি শো ‘তমাশা ঘর’–এ অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন। ২০২৩ সালে ‘ন্যাশনাল উইমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডস’–এ সেরা সম্ভাবনাময় অভিনেত্রীর পুরস্কার পান।
আমারবাঙলা/জিজি