মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় বিষমিশ্রিত ধান খেয়ে এক খামারির ৩৩৫টি হাঁস মারা গেছে। খামারে দেশি প্রজাতির প্রায় পাঁচ শ হাঁস ছিল। এর মধ্যে অনেকগুলো নিয়মিত ডিম দিত, আর কিছু হাঁস ডিম পাড়া শুরু করার অপেক্ষায় ছিল।
বৃহস্পতিবার জুড়ীর জায়ফরনগর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের খামারি চেরাগ আলী জানান, প্রতিদিনের মতো সকালে হাঁসগুলোকে গ্রামের পাশের জলাবদ্ধ জায়গায় ছেড়ে তিনি বোরো ধানের বীজতলার কাজে যান। বিকেলে ফিরে এসে পানিতে ভাসতে থাকা শত শত মৃত হাঁস দেখতে পান।
স্থানীয়ভাবে এলাকাটি ‘গোবিন্দপুরের জাওর’ নামে পরিচিত। শুষ্ক মৌসুমে এখানে বাঁধ দিয়ে পানি ধরে মাছ ধরার জন্য ইজারা দেওয়া হয়। এ বছর স্থানীয় মফিজ আলীসহ কয়েকজন এ জলাশয় ইজারা নিয়েছেন।
চেরাগ আলীর সন্দেহ, জমির ধারে ছড়ানো ধানের দানা হাঁসগুলো খেয়ে ফেলায় এ বিপর্যয় ঘটেছে। তিনি বলেন, অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় সেদিন সব হাঁস তুলতে পারেননি। বাড়িতে আনার পর আরও কয়েকটি হাঁস অসুস্থ হয়ে পড়ে। তেঁতুলের রস খাইয়ে প্রাণে বাঁচানোর চেষ্টা করেন তিনি। চেরাগ আলীর হিসাব, তাঁর ক্ষতি দাঁড়িয়েছে লক্ষাধিক টাকা।
স্থানীয় বাসিন্দা ফয়জুর রহমান, আব্দুস সামাদসহ কয়েকজন বলেন, গোবিন্দপুর হাওরে সাধারণত পরিযায়ী পাখি দেখা যায় না। তাঁদের ধারণা, পাখি মারা উদ্দেশ্য নয়; ইচ্ছাকৃতভাবেই হাঁস নিধনের উদ্দেশ্যে বিষ ছড়ানো হয়েছে। তাঁরা দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
ইজারাদার মফিজ আলী বলেন, গত কয়েক দিন ধরে তাঁরা অন্য বিলে মাছ ধরায় ব্যস্ত ছিলেন। এ ঘটনার বিষয়ে তাঁদের কোনো ধারণা নেই।
জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেলে যাচাই–বাছাই শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমারবাঙলা/এফএইচ