নরসিংদীতে বাড়িতে ঢুকে এক কিশোরীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দৃর্বৃত্তরা। এ সময় তার মা গুরুতর জখম হয়েছেন। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে সদর উপজেলার শিলমান্দী ইউনিয়নের সেকেরচর মাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমনা আক্তার ওরফে তিথি (১৩) ওই এলাকার মুদিদোকানি মোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে। গুরুতর আহত গৃহবধূ আসমা বেগম (৪০) বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পরে মোফাজ্বল-আসমা দম্পতির তিন বছরের শিশুকে বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কে বা কারা, কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দোকান বন্ধ করে সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি ফেরেন মোফাজ্জল হোসেন। ঘরে ঢুকেই তিনি স্ত্রী ও সন্তানকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করেন। এ সময় প্রতিবন্ধী ছেলেকে অক্ষত অবস্থায় বাথরুমে দেখতে পান।
আশপাশের লোকজন মোফাজ্জলের চিৎকার শুনে গুরুতর আহত অবস্থায় মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। হাসপাতালের চিকিৎসক সুমনাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আসমা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন। রাতেই আসমাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন।
মোফাজ্জল হোসেন বলেন, কে বা কারা কী কারণে ঘরে ঢুকে আমার স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা বুঝতে পারছি না।
সেকেরচর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাসুদ আলম বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুর্বৃত্তরা ওই বাড়িতে ঢুকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আসমা বেগম সুস্থ হয়ে ফিরলে পুরো ঘটনা জানা সম্ভব হবে। পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ঘটনাস্থল ও আশেপাশের এলাকা পরিদর্শন করে সদর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদ হোসেন বলেন, কী কারণে, কে বা কারা এ হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছে তাৎক্ষণিক বলা যাচ্ছে না। তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
আমারবাঙলা/এমআরইউ
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            