সিলেটে পূজা দেখতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। নিজ ক্যাম্পাসে আয়োজিত সরস্বতী পূজাতেই তিনি এই হামলার শিকার হন।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জিয়াউর রহমান জানান। তবে অধ্যক্ষ বলেন, মারধর বেশি কিছু না। একটু ধাক্কাধাক্কি।
এটি তেমন বড় কোনো ঘটনা নয় দাবি করে অধ্যক্ষ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের মারধর নির্যাতনের কারণে তাকে আগেই ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা হয়েছিল।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মারধরের শিকার ডা. সজল এস চক্রবর্তী সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি এমবিবিএস ৫১তম বর্ষের শিক্ষার্থী। বর্তমানে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিস্ট হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১টার দিকে মেডিকেল ক্যাম্পাসের সরস্বতী পূজা দেখতে যান সজল। এ সময় কতিপয় শিক্ষার্থী তাকে আটকে রেখে মারধর করে। পরে তাকে কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সজলকে পূজা কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে পূজা কমিটির সদস্যদের উদ্যোগে তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে জানতে সজল এস চক্রবর্তীর মোবাইলে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ সরস্বতী পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ডা. সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতা পূজা দেখতে আসলে বর্তমানে যারা ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণ করে তারা তাকে আটক করে। পরে আমরা তাকে নিরাপদ জায়গাতে পৌঁছে দেই।’
কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১ সেপ্টেম্বর মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় সজল চক্রবর্তীসহ আটজন সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে ক্যাম্পাসে আজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত করা হয়।
আমারবাঙলা/জিজি
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            