আজমল হোসেন জুয়েল, বিশেষ প্রতিনিধি ::
চাঁদপুরে আল-বাখেরা জাহাজে ৭ খুনের ঘটনায় বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য : স্বজনদের অভিযোগ ডাকাতি নয় চাঁদাবাজরাই পরিকল্পিত ভাবে তাদের হত্যা করেছে || ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যর কমিটি গঠন করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
চাঁদপুরের নোঙর করা জাহাজ এমবি আল-বাখেরায় ৭ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় একের পর এক বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এটি কোন ডাকাতির ঘটনা নয় বরং পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে দাবী করছেন নিহতের স্বজনেরা। তাদের দাবী, চাঁদপুরের ঐ এলাকায় চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বহু পুরনো। মূলত সারবাহী ঐ জাহাজের কোনো মালামাল কিংবা সম্পদের কোন ক্ষতি না হওয়ায় চাঁদাবাজদের যোগ সূত্র দেখছে স্বজনেরা।
এদিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। লাশ নিতে হাসপাতালে আসলেও ময়নাতদন্তের কাজ এখনো সম্পন্ন না হওয়ায় লাশ হস্তান্তর করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
জাহাজে নিহত মাস্টার (চালক) গোলাম কিবরিয়া'র ভাগ্নে ফরিদপুর সাদিকুর রহমান বলেন, সকলের শরীরে একই ধরনের আঘাতের চিহ্ন। জাহাজে লোডিং থাকা সারসহ সবকিছুই অক্ষত।
নিহত ড্রাইভার (ইঞ্জিন চালক) সালাহউদ্দিন মোল্লা'র চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এটি কোন ডাকাতির ঘটনা না এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। কারণ দুর্বৃত্তরা হত্যার পর কোন কিছু নেয়নি। চাঁদপুরের এই নৌ রুটে ব্যাপক চাঁদাবাজি হয়। বিশেষ করে যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে সেখানে সবথেকে বেশি চাঁদাবাজি হয়। চাঁদা না দিলে নৌ শ্রমিকদের মারধর করা হয়। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এখানে চাঁদাবাজি করে একটি চক্র। এজন্য নিরুপায় হয়ে সবাই চাঁদা দিয়ে থাকেন। হয়তো সেই চাঁদাবাজরাই এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের নৌ পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন আমরা এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা করতে পারিনি। তবে প্রক্রিয়া চলছে। জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও নৌ পুলিশ পৃথক তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘটনা তদন্তে সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার একজনকে আহবায়ক এবং যুগ্মসূচির পদমর্যাদার একজনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এই কমিটিকে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের কারণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও দায় দায়িত্ব নিরূপণ, অনূরুপ ঘটনারোধে ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারন পূর্বক সুস্পষ্ট সুপারিশসহ প্রতিবেদন আগামী ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।
আমারবাঙলা/ ইউকে
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            