কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) সংসদীয় আসনে বিএনপিতে ঐক্যের সুবাতাস বইছে। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী জসিম উদ্দিন এবং বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি এটিএম মিজানুর রহমানের ঐক্যে দলে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে জানা যায়। স্থানীয়রা বলছেন, ‘জসিম-মিজানের ঐক্যে আসনের আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন যাবেন কোন পথে?’
জানা যায়, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে জসিম ও মিজানের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্প্রতি দুই নেতা এক হয়ে দুই উপজেলার সম্মেলন করেছেন। দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করেছেন। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে হাজী জসিমের পক্ষে এখন ঐক্যবদ্ধ দুই উপজেলা বিএনপি।
নেতাকর্মীরা জানান, দুঃসময়ে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন হাজী জসিম। ৩০ বছর দলের হাল ধরে রেখেছেন। আগামী নির্বাচনে এ আসনে তিনি হেভিওয়েট প্রার্থী। মিজানের সঙ্গে দ্বন্দ্ব দূর হওয়ায় তিনি বাড়তি সুবিধা পাবেন। মিজান তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এতে জসিমের পাল্লা ভারী দেখা যাচ্ছে। তবে আগামী নির্বাচনে মিজানও মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে অনুসারীরা দাবি করলেও তিনি এখনো মুখ খোলেননি।
এদিকে, এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসাবে কাজ করছেন সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মামুন। দলের একটি অংশ নিয়ে তিনি মাঠে কার্যক্রম চালাচ্ছেন। নিয়মিত এলাকায় এসে গণসংযোগ করছেন। তিনি দলের মনোনয়ন পেতে পারেন বলে আশাবাদী তার অনুসারীরা। জসিম-মিজানের ঐক্যের মাঝেও তিনি চমক দেখাবেন এমনটাই দাবি তাদের।
অপরদিকে, আসনটিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ড. মোবারক হোসাইনকে প্রার্থী করেছে জামায়াতে ইসলামী। তিনি দুই উপজেলায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন বলেন, হাজী জসিমকে মিজানসহ আমরা সবাই মিলে সমর্থন দিয়েছি। তিনি একজন কর্মীবান্ধব নেতা। তাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে এ আসনে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। ব্যারিস্টার মামুন সাহেব দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন না। তিনি সাংগঠনিকভাবে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বলেন, নেতাকর্মীদের দুঃসময়ে জসিম পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার নেতৃত্বে কুমিল্লা-৫ আসনে বিএনপি এখন ঐক্যবদ্ধ।
হাজী জসিম বলেন, বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া বিএনপির নেতাকর্মী এবং জনগণ আমার শ্রম ও কষ্টের প্রতিদান দিতে উদগ্রিব হয়ে আছে। ব্যারিস্টার মামুন বলেন, ‘বিএনপির হাইকমান্ড অতীতেও আমার ওপর আস্থা রেখেছে, ভবিষ্যতেও তা বজায় থাকবে বলে আশাবাদী। নেতাকর্মীদের দুঃসময়ে তাদের পাশে ছিলাম। আগামী নির্বাচনে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার মানুষ আমাকে চাচ্ছে।’
আমারবাঙলা/এফএইচ