আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের একদিন পরই বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভিয়েতনামে রাষ্ট্রীয় সফর শুরু করেছেন।
পুতিন এবং কিম পিয়ংইয়ংয়ে একটি শীর্ষ সম্মেলনে কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন যাতে আক্রান্ত হলে একে অপরের সাহায্যে এগিয়ে আসে। কিম ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে ‘পূর্ণ সমর্থনের’ প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
ওয়াশিংটন এবং তার মিত্ররা ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে গোলাবারুদ এবং ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার জন্য উত্তর কোরিয়াকে অভিযুক্ত করে আসছে এবং এই চুক্তির ফলে ভয়কে বাড়িয়ে দিয়েছে।
যখন একজন শীর্ষ ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা পিয়ংইয়ংকে ‘ইউক্রেনীয়দের ওপর গণহত্যা’ চালাতে মস্কোকে মদত দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তখন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, রাশিয়া-উত্তর কোরিয়া সম্পর্ক ভালো হওয়া ‘গভীর উদ্বেগের বিষয়’
বুধবার ২৪ বছরের মধ্যে বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়ায় প্রথম সফরে গিয়ে পুতিন বলেছেন, তিনি পিয়ংইয়ংয়ের সাথে ‘সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতা’ অস্বীকার করেননি। কারণ, মস্কোর মতো একটি বিশ্বের অন্যতম পরমাণু শক্তিধর দেশ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছে।
পুতিন বলেন, ‘আজ আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার উপগ্রহের আধিপত্যবাদ এবং নয়া-ঔপনিবেশিক অনুশীলনের বিরুদ্ধে একসাথে লড়াই করছি।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে দেশ দু’টি একে অপরের মিত্র ছিল এবং ২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকে বিশ্বব্যাপী পুতিনকে বিচ্ছিন্ন করার পর দেশ দুটি’র মধ্যে ঘনিষ্টতা আরো জোরদার হয়।
পিয়ংইয়ং সফরের প্রতিক্রিয়ায়, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র বলেছেন,কোনও দেশেরই ‘মি. পুতিনকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে তার আগ্রাসনের যুদ্ধের প্রচারের জন্য প্ল্যাটফর্ম দেওয়া উচিত নয়।’
মুখপাত্র বলেছেন, ‘রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে গভীর সহযোগিতা একটি প্রবণতা যা কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আগ্রহী সকলের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় হওয়া উচিত।’
পুতিন উত্তর কোরিয়ার রাজধানীতে একটি উচ্ছ্বসিত অভ্যর্থনা পেয়েছেন। কিম বিমান থেকে নামলে পুতিনকে আলিঙ্গন করেন এবং উল্লাসিত জনতা, সমলয় নৃত্যশিল্পী এবং উভয় দেশের পতাকা নাড়িয়ে শিশুরা স্বাগত জানান।
তার অভ্যর্থনা ভিয়েতনামে আরও সংরক্ষিত হতে পারে, একটি প্রধান বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্র যেটি বছরের পর বছর ধরে সতর্কতার সাথে তার বৈদেশিক নীতির অবস্থানকে ঘিরে রেখেছে। দেশটি সবার সাথে বন্ধুত্ব করতে চাইছে কিন্তু কারও সাথে সুসম্পর্ক করতে পারছে না।
বিশেষ করে, এটি ক্রমবর্ধমান মার্কিন-চীন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পক্ষ বাছাই এড়াতে চেয়েছে এমনকি উভয় পরাশক্তি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাদের প্রভাব বাড়াতে চায়। পুতিন বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামের সিনিয়র নেতাদের সাথে সাক্ষাত করেন।
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            