কদিন আগে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) লিওনেল মেসির এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে ঘটে গেছে নানা কাণ্ড। অল স্টার ম্যাচে না খেলার কারণে এই নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়েছিল মেসিকে। এমএলএসের এমন সিদ্ধান্তে নাকি একেবারেই খুশি হননি মেসি।
তবে সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই নতুন করে আরেকটি নিষেধাজ্ঞার খবর পেলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। এবার অবশ্য মেসি নিজে নন, নিষিদ্ধ হয়েছে তাঁর দেহরক্ষী। সূত্রের বরাত দিয়ে মেসির দেহরক্ষী ইয়াসিন চুয়েকোর লিগস কাপে নিষিদ্ধ হওয়ার খবরটি দিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন।
এর আগে লিগস কাপের শৃঙ্খলা কমিটি জানায়, ইন্টার মায়ামির ক্লাব প্রতিনিধি দলের এক সদস্যকে বুধবার রাতে আটলাসের বিপক্ষে ম্যাচের পর ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার কারণে টুর্নামেন্টের বাকি অংশে সব ধরনের টেকনিক্যাল এরিয়ায় প্রবেশ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরে সূত্র থেকে সেই সদস্য মেসির দেহরক্ষী বলে নিশ্চিত হয় ইএসপিএন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শৃঙ্খলা কমিটি জানিয়েছে, ৩০ জুলাই ইন্টার মায়ামি বনাম ক্লাব আটলাস ম্যাচের পর, ইন্টার মায়ামির ক্লাব প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য পরিচয়পত্র ছাড়া নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করে নিয়মবর্হিভূত আচরণ করেছেন।
ফলে লিগস কাপ ২০২৫ টুর্নামেন্টের বিধিমালার আলোকে শৃঙ্খলা কমিটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে লিগস কাপ ২০২৫-এর বাকি অংশজুড়ে সব ধরনের টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে নিষিদ্ধ করেছে এবং ইন্টার মায়ামির ওপর একটি অপ্রকাশিত অর্থদণ্ড আরোপ করেছে।
আটলাসের বিপক্ষে সেদিন ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড়দের বিতণ্ডা থামাতে মাঠে প্রবেশ করেন মেসির দেহরক্ষী। কিন্তু মাঠে তাঁর প্রবেশ নিয়ে ম্যাচ শেষে প্রশ্ন তোলেন আটলাসের খেলোয়াড়রা।
দলটির ডিফেন্ডার দোরিয়া বলেছেন, ‘আমরা জানি আমাদের পরিচালনা পর্ষদ খুব ভালোভাবে কাজ করে এবং তারা বিষয়টি সামলাবে। আমি বুঝি মেসিকে মাঠে ঢুকে পড়া কোনো ভক্তের হাত থেকে বাঁচাতে তার দেহরক্ষী সেখানে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু খেলোয়াড়দের ব্যাপারে নাক গলানোর জানি না ঠিক কী, খেলোয়াড়দের মধ্যে কোনো ব্যাপারে তার সে অনুমতি নেই।’
দোরিয়া আরো বলেছেন, ‘এই বিষয়ে আমাদের বেশি কিছু বলার বা মত দেওয়ার নেই। তবে বোর্ড এবং লিগস কাপের দায়িত্বশীলরা ইতিমধ্যেই ঘটনাটি দেখেছেন এবং কী করা উচিত আর কী নয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। যতক্ষণ বিষয়টি শুধু মেসিই নয়, মাঠে থাকা সব খেলোয়াড়ের শারীরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে করা হয়, ততক্ষণ তা গ্রহণযোগ্য। কিন্তু যদি এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকে, তাহলে কেউই তা মেনে নেবে না। তবে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া আমার দায়িত্ব নয়।’
আমারবাঙলা/জিজি