জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) মেধাবী হিসেবে অভিহিত করে আইন, বিচার ও সংসদ এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বিগত সরকারের আমলে দেশের সবচেয়ে মেধাবী ডিসিরা কাজ করছেন। তাদের ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণকে নিপীড়ন ও অত্যাচার করতে ব্যবহার করেছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় দিনে আইন, বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত পঞ্চম কার্য-অধিবেশন শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, আজকের ডিসি সম্মেলন আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। এটা খুব জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তারা মাঠ পর্যায়ে প্রশাসন দেখেন। আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কী কী সমস্যা আছে সেটা তাদের থেকে কেউ ভালো জানেন না। আজকে তারা আমাদের জানিয়েছেন, দেশের যে বালুমহাল আছে সেখান থেকে যারা বালু উত্তোলন করেন তাদের ধরা হলে, তারা খুব দ্রুত জামিন পেয়ে যান।
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, আদালতের কাজ হলো উপযুক্ত ক্ষেত্রে জামিন দেওয়া। এ ধরনের কিছু বিষয় এসেছে আজকে, তাদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের জানিয়েছি আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যেমন সরকারের অনেক মামলা থাকে, মামলার ক্ষেত্রে আমাদের যে উইং থাকে সেখানে তারা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে সেটা বলেছি। একই সঙ্গে তাদের ডিসি অফিসে যে আদালত রয়েছে সেখানে স্থানসংকুলানের সমস্যা, সেটা নিয়ে কী করা যায় সে কথা বলেছি।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে দেশের সবচেয়ে মেধাবী ডিসিরা কাজ করছেন। রাষ্ট্রের এতো বড় একটি রিসোর্সকে ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণকে নিপীড়ন করার জন্য, অত্যাচার করার জন্য, তাদের অপকর্ম জায়েজের জন্য ব্যবহার করেছে। তাদের এই শক্তিকে যদি জনগণের সেবার জন্য, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য, ভূমি ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা সেবা প্রদান করার জন্য কাজে লাগাতে চাই; সেই সক্ষমতা তাদের আছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করবো ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যে দলই ক্ষমতায় আসুক; আমাদের প্রশাসন ক্যাডারের যে অসীম সম্ভাবনা রয়েছে, সেটাকে জনগণের নিপীড়নে কাজে না লাগিয়ে, সংবিধানে যেভাবে বলা আছে জনগণের সেবা করার কাজে যেন লাগায়। এটাই আমার প্রত্যাশা।’
সেবা দিতে তাদের কী নির্দেশনা দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘এখানে কোনো ফর্মুলার বিষয় নেই, আইনে যা আছে, নীতিমালায় যা আছে, সংবিধানে যা আছে সেটা মেনে চললে জনগণের সেবা আর কল্যাণ ছাড়া তাদের আর কোনো কাজই নেই। কাজেই আমাদের শুধু একটা কথা, আপনি আইন অনুযায়ী চলেন, বিবেক মতো চলেন। তাদের যে জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ আইন ও সংবিধান লঙ্ঘন করে।’
আমারবাঙলা/জিজি
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            