নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা।
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা।
পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম জানান, নতুন মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি একনেকের দ্বিতীয় সভা। সভায় ১১ টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে, যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ও প্রকল্প ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি উত্তোরণ পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে অল্প ব্যয় করলে যে প্রকল্পগুলো শেষ করা যাবে, সেগুলো দ্রুত শেষ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করতে এবং বৃষ্টির পানি ধরে রাখাতে ও সোলার ব্যবস্থা রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- মিশরের কায়রোতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স ও আবাসিক ভবন নির্মাণ, বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ ও ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ (১ম সংশোধিত), কাশিনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-নবাবগঞ্জ-কানসাট-সোনামসজিদ-বালিয়াদিঘী বর্ডার (এন-০৬) জাতীয় মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (নবাবগঞ্জ অংশ), বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারগুলোর সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম পর্যায়), ইমপ্রুভমেন্ট অব ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার অব বাংলাদেশ ফিশারজি ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন ইন কক্সবাজার ডিস্ট্রিক্ট প্রকল্প, বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোর পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (৩য় পর্যায়), ৮টি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং কিডনি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ (১ম সংশোধিত) ইত্যাদি।
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            