সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক

দানবীর আধ্যাত্মিক নেতা আগা খান আর নেই

আমার বাঙলা ডেস্ক

বিশ্বখ্যাত আধ্যাত্মিক নেতা, বিলিয়নেয়ার উদ্যোক্তা, দানবীর প্রিন্স করিম আগা খান মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর ।

তার দাতব্য সংস্থা আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর খবর দিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

প্রিন্স করিম আগা খান ছিলেন শিয়া ইসলামের ইসমাইলি সম্প্রদায়ের ৪৯তম বংশগত ইমাম। ১৯৫৭ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে দাদার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি।

সুইজারল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করা আগা খান ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক; ফ্রান্সের একটি প্রাসাদে তিনি বসবাস করতেন। বুধবার পর্তুগালের লিসবনে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তিনি চিরবিদায় নেন।

ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস এবং তার প্রয়াত মা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন আগা খান।

বিবিসি লিখেছে, দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত বন্ধুর এই মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত রাজা চার্লস। তিনি ব্যক্তিগতভাবে আগা খানের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।

আগা খান বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন; বাহামাসে একটি ব্যক্তিগত দ্বীপ, একটি সুপার-ইয়ট এবং ব্যক্তিগত বিমান ছিল তার।

উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া তার সম্পদ আরো বৃদ্ধি পেয়েছিল ব্যবসা, বিশেষ করে ঘোড়া পালন ও রেসিং শিল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে।

ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসাব অনুযায়ী, ২০০৮ সালে তার সম্পদের পরিমাণ ছিল আনুমানিক এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আগা খানের দাতব্য সংস্থা বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শত শত হাসপাতাল পরিচালনার পাশাপাশি শিক্ষা এবং সংস্কৃতি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।

তিনি পাকিস্তানের করাচিতে আগা খান ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং হার্ভার্ড ও এমআইটির যৌথ উদ্যোগে আগা খান প্রোগ্রাম ফর ইসলামিক আর্কিটেকচার চালু করেন।

ভারতীয় ঐতিহ্যের সংরক্ষণেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, বিশেষ করে দিল্লির ঐতিহাসিক হুমায়ুনের সমাধির সংস্কারে।

তার নামে ব্রিটেনে চালু রয়েছে আগা খান আর্কিটেকচার অ্যাওয়ার্ড। পূর্ব ও মধ্য আফ্রিকার নেশন মিডিয়া গ্রুপ তারই প্রতিষ্ঠিত।

আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক বলেছে, আমরা আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব, যাতে বিশ্বজুড়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটানো যায়, ঠিক যেমনটি তিনি চেয়েছিলেন।

আনুমানিক দেড় কোটি ইসমাইলি মুসলমানের ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে আগা খান দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। পাকিস্তানে প্রায় পাঁচ লাখ ইসমাইলির বসবাস। এ ছাড়া ভারত, আফগানিস্তান ও আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে তাদের উপস্থিতি রয়েছে।

ঘোড়া প্রতিপালনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক খাতেও আগা খানের বিশাল বিনিয়োগ ছিল। বিশেষ করে, তিনি ইউরোপের অন্যতম সফল ঘোড়া প্রজননকারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

তার বিখ্যাত ঘোড়া শেরগার ১৯৮১ সালে এপসম ডার্বি জয় করে, তবে ১৯৮৩ সালে ঘোড়াটি অপহরণ করা হয় এবং আর কখনো সেটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

আমারবাঙলা/এমআরইউ

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

এনইউবিতে চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে ‘চায়না আওয়ার’ অনুষ্ঠিত

নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এনইউবি) ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে চীনা ভাষা ও স...

চট্টগ্রাম-১৫ আসনের বিএনপি প্রার্থীকে অর্থদণ্ড

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া–লোহাগাড়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা...

অপরাধীদের গ্রেপ্তারে সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবি'র জোরদার নজরদারি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় সর্বো...

হাদীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরীফ ওসমা...

র‍্যাবের অভিযানে ৫৪ লিটার মদসহ গ্রেপ্তার ১

গোপন সূত্রের বরাতে র‍্যাবের কাছে খবর আসে একটি নির্দিষ্ট বাড়িতে মাদক ক্রয়-...

কক্সবাজারের থানা ও ফাঁড়ি পরিদর্শনে পুলিশ সুপার

কক্সবাজার সদর মডেল থানা, রামু থানা, উখিয়া থানা ও হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ি পরিদ...

রাঙ্গুনিয়ার থানা পরিদর্শনে জেলা পুলিশ সুপার

রাঙ্গুনিয়া ও দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপা...

পানি সংকট কাটিয়ে উৎপাদনে ফিরল কর্ণফুলী পেপার মিল

চার দিন পানি সংকটে বন্ধ থাকার পর আবারও কাগজ উৎপাদনে ফিরেছে কর্ণফুলী পেপার মিল...

বিরোধী কণ্ঠ স্তব্ধ করার অপচেষ্টা চলছে : চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসে...

ট্যুরিস্ট পুলিশ ও সিডিএ'র দ্বিপাক্ষিক সভা

ট্যুরিস্ট পুলিশ, চট্টগ্রাম রিজিয়নের জন্য স্থায়ী জায়গা হস্তান্তরের বিষয়ে ট্যু...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা