রাজধানীর বসুন্ধরায় দুই বিদেশি নাগরিককে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বাংলাদেশের এক কাপড়ের ব্যবসায়ীর সঙ্গে পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে ‘ডলার ভাঙানোকে’ কেন্দ্র করে দুই ইরানি নাগরিক মারধরের শিকার হয়েছেন বলে পুলিশের ভাষ্য।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাযহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে পুলিশের করা মামলায় আব্দুল্লাহ এবং সাব্বির মিয়া নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি মাযহারুল বলেছেন, ইরানের দুই নাগরিকের নাম আহম্মদ এবং মেহেদী, সম্পর্কে তারা দাদা ও নাতি হন; তারা ঢাকায় বেড়াতে এসেছেন।
এই দুইজনসহ আরো এক ব্যক্তি মারধরের শিকার হন মঙ্গলবার দুপুরে বসুন্ধরার আবু সাঈদ সড়কে।
ভাটারা থানার এএসআই ছোটন চন্দ্র দাস জানিয়েছিলেন, জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ এক ব্যক্তি ফোন করে মারধরের ওই ঘটনাটি জানায়। ওই ফোন পেয়ে পুলিশ বসুন্ধরায় গিয়ে দুই বিদেশি নাগরিকসহ আরো একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে।
বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার এইচএম শফিকুর রহমান জানিয়েছেন, বাংলাদেশের এক কাপড় ব্যবসায়ী এবং তার ছেলের সঙ্গে আহম্মদ নামের ওই ইরানি নাগরিকের পূর্ব পরিচয় ছিল। কিছুদিন আগে ইরানি নাগরিকরা বাংলাদেশে বেড়াতে আসেন। তারা ডলার ভাঙানোর জন্য ওই কাপড় ব্যবসায়ীর ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বেশ কিছু ডলার তারা ভাঙিয়েছিলেন। ডলারের বিনিময়ে টাকা নিয়ে চলে যাওয়ার সময় ডলার কম দিয়েছে অভিযোগ তুলে ঝামেলা শুরু হয়। এরপরই আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে তাদের গাড়ি ধাওয়া করলে চালক ভয়ে দ্রুত গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় সড়কে রিকশায় ধাক্কা দেয় বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
সহকারী কমিশনার রহমান বলেন, পরে তাদের (ইরানি নাগরিক) আটকে মারধর এবং গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
এর আগে এএসআই ছোটন চন্দ্র দাস বলেছিলেন, আমরা গিয়ে দেখি হাজারো লোকজন তাদের (বিদেশি নাগরিক) মারতেছে, গাড়ি ভাংচুর করতেছে। ওখানে যখন পাবলিকে মারধর করা শুরু করেছে ওরা গাড়ি দিছে টান। সামনে রিকশাসহ যা ছিল সব মেরে সামনে চলে যায় তারা। কিছুদূর যাওয়ার পর পাবলিক গাড়ি আটকিয়ে তাদের বেদম মারধর করে, আর চালক পালিয়ে যান।
পুলিশ খোঁজ নিয়ে জেনেছে ওই গাড়িটি রেন্ট-এ কারের। ছোটন চন্দ্র দাস জানান, তারা ধারণা করছেন গাড়ির চালক বাংলাদেশি।
টাকা পয়সা প্রতারণার অভিযোগে মারধরের ঘটনা ঘটলেও ঘটনাস্থলে কোনো অভিযোগকারীর দেখা পায়নি পুলিশ। পরে গুরুতর অবস্থায় দুই বিদেশিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আমারবাঙলা/এমআরইউ
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            