ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে বিগত ৫ আগস্ট দুপুরেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতের আশ্রয় নেন। এরপর ওইদিন দুপুরের পর থেকেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবন ও সংসদ ভবনের ভিতরে ঢুকে পড়ে জনতা।
তবে ওই অবস্থায়ও সংসদ ভবনের একটি কক্ষে রাত পর্যন্ত পালিয়ে ছিলেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১২ জন। পরে সেনাবাহিনী তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালতে একটি মামলার রিমান্ড শুনানিকালে পলক এসব কথা জানান।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক বাড্ডা থানার আব্দুল জাব্বার হত্যা মামলায় পলকের তিনদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। সেই রিমান্ড শুনানির জন্য আজ তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।
এ সময় পলক আদালতের কাছে এক মিনিট সময় চান। এরপর তিনি আদালতকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার ঘটনার যে তারিখ ও সময়ের কথা শুনতে পেলাম তার বিষয়ে বলছি। ৫ অগাস্টে সন্ধ্যা বা রাতে মহান জাতীয় সংসদে রাত আড়াইটা পর্যন্ত স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, আমিসহ ১২ জন আবদ্ধ ছিলাম। সেদিন সংসদ ভবন আক্রান্ত হয়েছিল। পরে সেনাবাহিনী আমাদের উদ্ধার করে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ন্যায়বিচার চাই।’
তিনি আরো বলেন, এ পর্যন্ত ৮৬ দিন রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। প্রয়োজনে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হোক।
এ সময় ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, যে পাঁচজন আন্দোলন দমাতে বক্তব্য রাখতেন তাদের একজন পলক। নেট বন্ধ করে হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করেছেন। তিনি ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন না বললে হাস্যকর মনে হবে। যিনি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন এবং যিনি সহযোগিতা করেছেন সবাই সমান অপরাধী।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত বছরের ৫ অগাস্টে সকাল সোয়া ১০ টার দিকে বাড্ডার ডিআইজি প্রজেক্ট এলাকায় রং মিস্ত্রী আব্দুল জব্বার গুলিতে নিহত হন। এই হত্যা মামলায় পলককে আসামি করা হয়েছে।
গত ১৪ আগস্ট খিলক্ষেত নিকুঞ্জ এলাকা থেকে পলককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পলককে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এর আগে গত ৬ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দিল্লি যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে পলককে আটকে দেওয়া হয়।
আমারবাঙলা/জিজি
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            