বল হাতে উইকেট না পেলেও আজ সকালে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে নিয়ন্ত্রিত বোলিং-ই করেছেন সাকিব আল হাসান। ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার। সাকিবের পাশাপাশি সতীর্থদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে দুবাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান তোলে গায়ানা।
টি-টোয়েন্টি বিবেচনায় আহামরি বড় সংগ্রহ না। কিন্তু এ রান তাড়া করতে নেমে বিপদে পড়ে দুবাই ক্যাপিটালস। ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারালে ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিব। কিন্তু দলের বিপদে ঢাল হয়ে দাঁড়াতে পারেননি। উল্টো দলের বিপদ বাড়িয়ে মঈন আলীর বলে বোল্ড হয়েছেন ৫ বলে ৪ রান করা সাকিব।
বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের নিষ্প্রভ দিনে শুরুর এ ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি দুবাই ক্যাপিটালস। ধুঁকে ধুঁকে ইনিংসের ১৫.৪ ওভার পর্যন্ত টিকে থাকতে পেরেছে দলটি। সব উইকেট হারানোর আগে স্কোরবোর্ডে তুলতে পেরেছে ৮১ রান। তাতে ৫৭ রানের বড় হার সঙ্গী হয়েছে দুবাইয়ের।
গ্লোবাল সুপার লিগে এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচে মলিন দিন দেখলেন সাকিব। দুটিতেই হেরেছে তাঁর দল দুবাই। অথচ এ টুর্নামেন্টে সাকিবের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। বৃহস্পতিবার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিকসের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ৩৭ বলে ৫৮ রান করার পর বল হাতে মাত্র ১৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। সাকিবের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ভর করে দুবাই ক্যাপিটালস ম্যাচটা জিতেছিল ২২ রানে।
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখেন ৩৮ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। গত শুক্রবার হোবার্ট হারিকেন্সের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে ব্যর্থ ছিলেন সাকিব। ১০ বলে ৭ রান করে আউট হয়েছেন। পরে ৩৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন। তাঁর দল ম্যাচটা হারে ৭ উইকেটে। সেদিনের মতো আজও একই পরিণতি দেখেছে দুবাই।
অথচ সাকিব-কাইস আহমেদ-কালিম সানাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তেমন সুবিধা করতে পারেনি গায়ানা। পাওয়ার প্লে-তে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪২ রান তোলে দলটি। সপ্তম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে যান সাকিব। ওই ওভারে ৫ রান দেন বাঁহাতি স্পিনার। একই স্পেলে টানা ৪ ওভার শেষ করে শেষ পর্যন্ত উইকেটশূন্যই থাকেন সাকিব।
প্রথম ওভারে ৫ রান দেওয়ার পরের ওভারে ১ ছক্কায় ৯ রান হজম করেন সাকিব। তবে পরের দুই ওভারে ঘুরে দাঁড়িয়ে দেন মাত্র ৭ রান।
বল হাতে কিপটে হলেও ব্যাট হাতে সুবিধা আর করতে পারলেন না। মঈন আলীর ফুল লেংথ ডেলিভারিতে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। মঈনের বল ভেঙে দেয় সাকিবের স্টাম্প।
সাকিবের মতো তাঁর সতীর্থরাও উইকেটে গিয়েছেন আর ফিরেছেন। দুবাইয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৬ রানের ইনিংসটি খেলেছেন নিরোশান ডিকওয়েলা। এছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন শুধু সেদিকুল্লাহ আতাল (২৫) ও কাইস আহমেদ (১০)।
দুবাইকে ধসিয়ে দেওয়ার পথে বল হাতে সবচেয়ে কার্যকরী ছিলেন ইমরান তাহির। সাউথ আফ্রিকান স্পিনার মাত্র ১২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া গুডাকেশ মোতি, রোমারিও শেফার্ড দুটি করে এবং ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ও মঈন আলী একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
আমারবাঙলা/জিজি