দুই শ’ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নির্মিত নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ শেষে সাত বছর পার হলেও ভবনটিতে এখনো কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে নির্মিত আটতলা ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১৮ সালে। ভবনটি অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ মহানগরের পুরাতন কোর্ট এলাকায়।
বর্তমানে জেলা জজ আদালত ও চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ফতুল্লার চাঁনমারী এলাকায় অবস্থিত জেলা জজ আদালত ভবনে। নতুন ভবনটি সেখান থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে হলেও শহরের তীব্র যানজটের কারণে এই পথ পাড়ি দিতে কখনও কখনও এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায়। এতে কর্মঘণ্টা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি জনসাধারণ ও আইনজীবীরা ভোগান্তির শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাঁদের দাবি, বিচারকার্য যেন জেলা জজ আদালতের নিকটবর্তী স্থানে পরিচালিত হয়।
ভবন নির্মাণের শুরু থেকেই আইনজীবীদের পক্ষ থেকে বর্তমান অবস্থানে ভবন নির্মাণ না করার আপত্তি জানানো হয়। তবে তৎকালীন সময়ে এসব আপত্তি গুরুত্ব পায়নি বলে দাবি আইনজীবীদের। জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, “শুরু থেকেই আমরা আপত্তি জানিয়েছি, কিন্তু প্রশাসন কোনো গুরুত্ব দেয়নি।”
বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির বলেন, “বাস্তবতা যাচাই ছাড়াই রাজনৈতিক বিবেচনায় তৎকালীন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।”
জেলা প্রশাসনের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “ভবনটি নির্মাণের সময়ে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা এখন আর এখানে নেই। আমরা নতুন, তাই পূর্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্তব্য করা সম্ভব নয়। ভবনটি অন্য কোনো মন্ত্রণালয় বা সরকারি সংস্থার কাছে ভাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা যাচাই করা হচ্ছে।”
আমারবাঙলা/এফএইচ