ছবি: সংগৃহীত
জাতীয়
সমন্বিত খসড়া

জুলাই সনদের ভাষাই চূড়ান্ত, মানতে হবে সংবিধানের ঊর্ধ্বে

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ার ‘অঙ্গীকার’ অংশে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। নতুন সমন্বিত খসড়ায় সনদটিকে বিশেষ মর্যাদা ও আইনি ভিত্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

কমিশনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, খসড়ায় বলা হয়েছে—এই সনদ জনগণের সর্বজনীন অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়েছে। তাই এটি প্রচলিত আইন কিংবা আদালতের রায়ের চেয়েও বেশি গুরুত্ব পাবে। এ লক্ষ্যে একটি বিশেষ সাংবিধানিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে।

খসড়ায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সনদের কোনো শব্দ, বাক্য কিংবা নীতিমালা যদি বর্তমান সংবিধান বা অন্যান্য আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়, তবে সেই ক্ষেত্রে সনদের ব্যাখ্যাই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। এমনকি এই সনদের বৈধতা নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না বলেও খসড়ায় স্পষ্ট করা হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের সাংবিধানিক পদক্ষেপ জুলাই সনদকে দেশের সর্বোচ্চ আইনি ভিত্তির একটি দলিলে পরিণত করবে।

কমিশনের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, জুলাই সনদের সমন্বিত খসড়া এখনো চূড়ান্ত হয়নি। অঙ্গীকার অংশের কয়েকটি বিষয়ে আইনি দিক আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খসড়া নিয়ে আলোচনা করা হতে পারে। প্রয়োজনীয় সংযোজন–বিয়োজনের পর আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যে নতুন খসড়াটি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে।

গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার আনার উদ্যোগ নেয়। ইতিমধ্যে প্রথম ধাপে গঠন করা ছয়টি সংস্কার কমিশনের ৮২টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’।

গত ২৯ জুলাই দলগুলোকে জুলাই সনদের একটি খসড়া দিয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। খসড়া নিয়ে দলগুলো মতামতও দিয়েছিল। তার ভিত্তিতে সমন্বিত খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সমন্বিত খসড়া নিয়ে দলগুলোর মতামতও প্রয়োজনে কমিশন আমলে নেবে। অন্যদিকে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে ঐকমত্য কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। এরপর সনদ চূড়ান্ত রূপ পাবে।

মোটাদাগে, জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ায় তিনটি ভাগ আছে। প্রথম অংশে আছে এই সনদের পটভূমি। দ্বিতীয় অংশে কোন কোন সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার উল্লেখ। আর তৃতীয় অংশে থাকছে সনদ তথা সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের বিষয়ে কিছু সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার।

প্রাথমিক খসড়ায় কিছু পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন হয়েছে। এখন কিছু খুঁটিনাটি বিষয় পুনর্নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সহসভাপতি, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন

প্রথম খসড়ায় বলা হয়েছিল, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করবে দলগুলো। এ বিষয়ে বিএনপি একমত হলেও জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) আরও কিছু দলের আপত্তি ছিল। তারা সনদকে একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে আনা এবং সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে।

দলগুলোর মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধিত সমন্বিত খসড়ায় অঙ্গীকারের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেখানে দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়নের বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে। অবশ্য কমিশন বলেছে, প্রথম খসড়ায় এটি মূলত ‘টেম্পলেট’ বা নমুনা হিসেবে রাখা হয়েছিল। এ ছাড়া সমন্বিত খসড়ায় ৮২টি প্রস্তাবের কোনটিতে কী সিদ্ধান্ত বা ঐকমত্য আছে, তার বিস্তারিত এবং যেসব প্রস্তাবে ভিন্নমত আছে, সেগুলোরও উল্লেখ থাকছে।

বুধবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, প্রাথমিক খসড়া নিয়ে দলগুলো যেসব মতামত দিয়েছিল, সেগুলো সমন্বয় করে জুলাই জাতীয় সনদের ‘সমন্বিত খসড়া’ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে যতটা সম্ভব সব দলের মতামতের প্রতিফলন রাখা হয়েছে। প্রাথমিক খসড়ায় কিছু পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন হয়েছে। এখন কিছু খুঁটিনাটি বিষয় পুনর্নিরীক্ষা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে এটি চূড়ান্ত করে শুক্রবার সকাল নাগাদ দলগুলোর কাছে এটি পাঠানো যাবে বলে তিনি আশা করছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সমন্বিত খসড়াতেও কয়েকটি বিষয়ে অঙ্গীকার করার কথা বলা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো এসব অঙ্গীকার করে সনদে সই করবে। এর মধ্যে আছে জুলাই জাতীয় সনদের পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা; সনদের ব্যাখ্যা ও প্রয়োগের বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে তা মীমাংসার ভার সুপ্রিম কোর্টকে দেওয়া; গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম এবং ২০২৪ সালের গণ–অভ্যুত্থানের তাৎপর্যকে সংবিধানে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি; গণ–অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। সনদের যেসব সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য, সেগুলো আগামী নির্বাচনের আগে বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে সমন্বিত খসড়ায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সমন্বিত খসড়ায় বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদ জনগণের সর্বজনীন অভিপ্রায়ের সুস্পষ্ট ও সর্বোচ্চ অভিব্যক্তির পরিপ্রেক্ষিতে প্রণয়ন করা হয়েছে বিধায় এই সনদের সব বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানের ৯৩ (২) অনুচ্ছেদ বা অন্য কোনো আইন বা রায় থাকা সত্ত্বেও বলবৎ ও প্রাধান্য লাভ করবে—এই মর্মে বিশেষ সাংবিধানিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।

এ ক্ষেত্রে অধ্যাদেশ জারির বিষয়টি নিয়ে আইনি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অধ্যাদেশ দিয়ে সংবিধান সংশোধন করা সম্ভব হবে না, সে ক্ষেত্রে বিশেষ অন্য কোনো ব্যবস্থা করা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে।

জুলাই সনদের খসড়ায় বিষয়টি এমনভাবে উল্লেখ করার চিন্তা করা হয়েছে, যাতে সংসদে অনুমোদন না হলেও অধ্যাদেশের কার্যকারিতা লোপ না পায়। তবে ৯৩ অনুচ্ছেদেই আছে, সংবিধানের কোনো বিধান পরিবর্তন হয়ে যায় এমন কোনো বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করা যাবে না। তাই বিষয়টি নিয়ে ঐকমত্য কমিশনকে আরও চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সংবিধানের ৯৩ অনুচ্ছেদে অধ্যাদেশ প্রণয়নের ক্ষমতা প্রসঙ্গে বলা আছে। সংসদ না থাকা অবস্থায় প্রয়োজনে অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন রাষ্ট্রপতি। এভাবে নতুন আইন বা বিদ্যমান আইনের সংশোধনী আনা যায়। ৯৩(২) অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোনো অধ্যাদেশ জারির পর অনুষ্ঠিত সংসদের প্রথম বৈঠকে তা উপস্থাপন করতে হবে। সংসদ যদি ৩০ দিনের মধ্যে অধ্যাদেশটি অনুমোদন না করে, তাহলে আর অধ্যাদেশটির কার্যকারিতা থাকবে না।

জুলাই সনদের খসড়ায় বিষয়টি এমনভাবে উল্লেখ করার চিন্তা করা হয়েছে, যাতে সংসদে অনুমোদন না হলেও অধ্যাদেশের কার্যকারিতা লোপ না পায়। তবে ৯৩ অনুচ্ছেদেই আছে, সংবিধানের কোনো বিধান পরিবর্তন হয়ে যায় এমন কোনো বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করা যাবে না। তাই বিষয়টি নিয়ে ঐকমত্য কমিশনকে আরও চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় ৮২টি বিষয়ে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়। এগুলো সনদে উল্লেখ থাকবে। এর মধ্যে প্রথম পর্বে ঐকমত্য হওয়া ৬২টি বিষয়ের মধ্যে আছে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন, জেলা সমন্বয় কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা, রাজনৈতিক দলকে তথ্য অধিকার আইনের আওতায় আনা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা, আইনজীবীদের আচরণবিধি, গণহত্যা ও ভোট জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন, তথ্য অধিকার আইনের সংশোধন, দুর্নীতিবিরোধী কৌশলপত্র প্রণয়ন, নির্বাচনী অর্থায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে সংশোধন, দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার নিয়োগ পদ্ধতি, আয়কর আইনের সংশোধন ইত্যাদি।

দ্বিতীয় পর্বে ২০টি মৌলিক সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে ১১টি বিষয়ে ভিন্নমত ছাড়া ঐকমত্য হয়। সেগুলো হলো ১. সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, ২. নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ, ৩. রাষ্ট্রপতির ক্ষমা-সম্পর্কিত বিধান, ৪. বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ—(ক) সুপ্রিম কোর্টের বিকেন্দ্রীকরণ, (খ) উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালতের সম্প্রসারণ, ৫. জরুরি অবস্থা ঘোষণা, ৬. প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, ৭. সংবিধান সংশোধন, ৮. প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল, ৯. নির্বাচন কমিশন গঠন, ১০. পুলিশ কমিশন গঠন, ১১. নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ-সম্পর্কিত প্রস্তাব।

আর ৯টি বিষয়ে ভিন্নমতসহ সিদ্ধান্ত হয়। সেগুলো হলো ১. সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭০ সংশোধন, ২. প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান, ৩. সরকারি কর্ম কমিশন, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান-সম্পর্কিত, ৪. সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব, ৫. দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট, ৬. রাষ্ট্রপতি নির্বাচনপদ্ধতি, ৭. তত্ত্বাবধায়ক সরকার, ৮. রাষ্ট্রের মূলনীতি, ৯. রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব

আমারবাঙলা/এফএইচ

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

জলঢাকায় মাজিদুল ও শিপনের বিরুদ্ধে দখলদারি—চাঁদাবাজির অভিযোগ

নীলফামারীর জলঢাকায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলদারি ও সংখ্যালঘুদের হুমকিসহ নান...

নির্বাচন ঠেকাতে বহুমুখী অপচেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ব...

লিভারপুলে নুনিয়েজের ৯ নম্বর জার্সি এবার কার

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ৭ নম্বর কিংবা বার্সেলোনার ১০ নম্বর জার্সির মতো ততটা ঐ...

শিক্ষা প্রশাসনে প্রকাশ্যে পাঁচ গ্রুপ, অস্থিরতা চরমে

শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জুবায়েরকে আকস্মিকভাবে অপসারণের পর শিক্ষা প্রশাসনে দেখা দ...

অফিসে ‘ধূমপান’ করে ভাইরাল প্রকৌশলী

কুলাউড়ায় নিজ কার্যালয়ে অফিস সময়ে ওপেন ধূমপান করে ভাইরাল সেই উপজেলা প্রকৌশলী ত...

অফিসে ‘ধূমপান’ করে ভাইরাল প্রকৌশলী

কুলাউড়ায় নিজ কার্যালয়ে অফিস সময়ে ওপেন ধূমপান করে ভাইরাল সেই উপজেলা প্রকৌশলী ত...

মাঝের চরে নিদারুণ কষ্টে কাটছে জেলেদের জীবন

‘মাঝের চর’-সুন্দরবনঘেঁষা বলেশ্বর নদের মধ্যবর্তী একটি চর বা দ্বীপ।...

১১শ কি.মি. সড়কের অর্ধেকই ক্ষতিগ্রস্ত

চলতি বছর টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) আওতাধীন...

গুরুতর অসুস্থ কাউকে হজে যেতে দেওয়া হবে না : ধর্ম উপদেষ্টা

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘২০২৬ সাল থেকে কঠোরভাবে মনিট...

বনানীতে সিসা বারে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা

রাজধানী ঢাকার বনানী এলাকায় ‘৩৬০ ডিগ্রি’ নামে একটি সিসা বারে রাহাত...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা