কুমিল্লার মুরাদনগরে সাত বছর বয়সী এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আজিজ মিয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে তার বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষদর্শীকে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অভিযুক্ত আজিজ মিয়াকে আটক করা হয়। মামলা দায়েরের পর বুধবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
অন্যদিকে পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্ত আজিজ মিয়াকে আটক করে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁকে আটক করা হয়েছে বলে জানান মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিশুটি শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী। গত এক মাস আগে শিশুটির মা তার বাবাকে ছেড়ে চলে জান। তারপর থেকে বাবার সঙ্গেই থাকে। সোমবার দুপুরে শিশুটির বাবা ঘরে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় আজিজ মিয়া বাড়িতে ঢুকে শিশুটিকে জোরপূর্বক বসতঘরের পাশে থাকা রান্না ঘরের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি পাশের বাড়ির এক নারী দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় শিশুটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি জানান, আমি কাঁধে বাঁশ নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম, তখনই ৩ জন নারী আমাকে ডেকে বলেন রান্নাঘরে কিছু একটা হচ্ছে। তখন আমি ওই নারীদের সঙ্গে নিয়ে রান্নাঘরের দরজা খুলে পাশবিক নির্যাতন এর দৃশ্য দেখতে পাই।
প্রত্যক্ষদর্শী আরও জানান, এ ঘটনাটি কারো কাছে না জানাতে আজিজ মিয়ার পক্ষের লোকজনও হুমকি দিচ্ছে।
মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। সন্ধ্যায় আজিজ মিয়াকে আটক করা হয়েছে। তিনি এখন থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
আমারবাঙলা/এসএ