সংগৃহীত
জাতীয়

মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর জন্মদিন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৪তম জন্মদিন আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর)। ১৮৮০ সালের এই দিনে সিরাজগঞ্জের ধানগড়াপল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তিনি হাজি শারাফত আলী ও বেগম শারাফত আলীর পরিবারের চার সন্তানের মধ্যে সবার ছোট। শৈশবে তার ডাক নাম ছিল ‘চেগা মিয়া।’

দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক দল ও সংগঠন।

আজ সকাল ১০টায় টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা ভাসানীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ভাসানী) উদ্যোগে বেলা ১১টায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচি পালন করে ভাসানী অনুসারী পরিষদ। আর সকাল ১০টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে আলোচনা সভা করে বাংলাদেশ উন্নয়ন পার্টি।

ইসলামিক শিক্ষার উদ্দেশ্যে ১৯০৭ সালে তিনি দেওবন্দ গিয়ে দুই বছর অধ্যয়নের পর আসামে ফিরে আসেন ভাসানী। ১৯১৭ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ময়মনসিংহ সফরে এলে তার ভাষণ শুনে অনুপ্রাণিত হন ভাসানী।

মওলানা ভাসানীর সংগ্রামের মূল লক্ষ্য ছিল শোষণমুক্ত সমাজ। ১৯১৯ সালে কংগ্রেসে যোগদানের পর খেলাফত আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নিয়ে ১০ মাস কারাভোগ করেন। ১৯২৬ সালে আসামে প্রথম কৃষক-প্রজা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটান তিনি। ১৯২৯ সালে আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসানচরে প্রথম কৃষক সম্মেলন করেন। এরপর তার নামের শেষে ভাসানী যুক্ত হয়।

পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী অন্যতম প্রধান নেতা ছিলেন মওলানা ভাসানী। এরপর ১৯৬৪, ১৯৬৫, ১৯৬৮ সালের আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মওলানা ভাসানী ভারতে চলে যান এবং প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি হন।

আজীবন শ্রমিক-কৃষক ও মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করে গেছেন মওলানা ভাসানী। ১৯৩১ সালে সন্তোষের কাগমারী, ১৯৩২ সালে সিরাজগঞ্জের কাওরাখোলা এবং ১৯৩৩ সালে গাইবান্ধায় বিশাল কৃষক সম্মেলন করেন তিনি। ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে ১৯৭৬ সালে ফারাক্কা বাঁধ অভিমুখে ঐতিহাসিক লংমার্চ করে স্মরণীয় হয়ে আছেন তিনি। ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে।

আমারবাঙলা/এমআরইউ

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

নরসিংদীর মনোহরদীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

আজ ১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। উদয়ের পথে শুনি কার বাণী—

হাদীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরীফ ওসমা...

অপরাধীদের গ্রেপ্তারে সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবি'র জোরদার নজরদারি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় সর্বো...

এনইউবিতে চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে ‘চায়না আওয়ার’ অনুষ্ঠিত

নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এনইউবি) ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে চীনা ভাষা ও স...

র‍্যাবের অভিযানে ৫৪ লিটার মদসহ গ্রেপ্তার ১

গোপন সূত্রের বরাতে র‍্যাবের কাছে খবর আসে একটি নির্দিষ্ট বাড়িতে মাদক ক্রয়-...

লোহাগাড়ায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান

লোহাগাড়া উপজেলায় অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে তিনটি ইটভাট...

চমেক হাসপাতালে সিঁড়ি থেকে পড়ে নিহত ১

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মূল ভবনে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় পড়ে...

চট্টগ্রামে মা ও শিশু হাসপাতালের চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলায় গর্ভের সন্তানের মৃত্...

রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপি’র উঠান বৈঠক ও দোয়া মাহফিল

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ৯নং ওয়ার্ড খুরশেদতালু এলাকায় হুমাম কাদের চৌ...

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে কক্সবাজার প্রশাসনের আলোচনা সভা

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে আলোচনা সভা ও জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা