অনেক বিষয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে যতটা প্রত্যাশিত অগ্রগতি প্রয়োজন ছিল, তা আমরা অর্জন করতে পারছি না বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর ফরেইন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভার প্রারম্ভিক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, আপনারা নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন সময়ের সল্পতার কারণে, আমরা অনেক বিষয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে যতটা প্রত্যাশিত অগ্রগতি প্রয়োজন ছিল, তা আমরা অর্জন করতে পারছি না এই সপ্তাহের পরে সময়ের সল্পতা এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে, যে খুব দ্রুততার সাথে কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আশা করছি এসব আপনারা বিবেচনায় রাখবেন। কোনো কোনো বিষয় নিষ্পত্তিহীন অবস্থায় আছে, সেগুলো আপনারা জানেন।
ঐক্যমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, আমি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ধন্যবাদের পাশাপাশি অনুরোধ করতে চাই, আমাদেরকে একটি জাতীয় সনদ তৈরির জায়গায় যেতে হবে। যতদূর সম্ভব সকলে মিলে যেতে হবে। সেই জন্যে আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু অবস্থান গত পরিবর্তন অব্যাহত রাখবেন, আশা করি। কিন্তু সময়ের সল্পতা বিবেচনা করুন। যেন আমরা খুব দ্রুত জুলাই মাসের মধ্যেই একটা জাতীয় সনদ প্রনয়ণ করতে পারি। মৌলিক বিষয়গুলো যে জাতীয় সনদে সকলের মতামতের ভিত্তিতে এক জায়গায় আসতে পারি।
তিনি আরো বলেন, আমি অনেকবার বলেছি, কমিশন কোন আলাদা সত্তা নয়। কমিশন আপনাদের আমাদের সকলের অংশীদার। ফলে আমরা যদি কোথাও কোথাও ব্যর্থ হই, তাহলে সে ব্যর্থতা আমাদের সকলের, কমিশনের একার নয়। কমিশন ব্যর্থ হলে, সেটা সকলে মিলে ব্যর্থ হবে, সেটা আমাদের বিবেচনা করতে হবে।
আলী রীয়াজ বলেন, ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যে দায় দায়িত্ব আমাদের ওপরে অর্পিত হয়েছে, সে দায়িত্ব রাজনৈতিক দল হিসেবে আপনাদের ওপরও, আমরা তার অংশীদার হয়েছি মাত্র। কমিশন আপনাদের প্রচেষ্টার অংশীদার হয়েছে মাত্র। আপনাদের প্রচেষ্টায় আমরা সহযোগী হিসেবে যেন ভূমিকা পালন করতে পারি, সেটাই হচ্ছে আমাদের চেষ্টা। ফলে আমাদের সকলে মিলেই সফল হতে হবে।
আজকের বৈঠকের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট, সংবিধান সংশোধন, সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব। বৈঠকে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আমারবাঙলা/জিজি