সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক

গাজায় যুদ্ধবিরতি ‘অস্থায়ী’, যুদ্ধ শুরুর অধিকার আছে ইসরায়েলের: নেতানিয়াহু 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

দীর্ঘ ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলমান বিধ্বংসী যুদ্ধের অবসানে অবশেষে ফিলিস্তিনের গাজায় কার্যকর হতে যাচ্ছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) থেকেই সেখানে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

তবে গাজায় এই যুদ্ধবিরতিকে ‘অস্থায়ী’ বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি আরো দাবি করেছেন, প্রয়োজনে যুদ্ধ পুনরায় শুরু করার পূর্ণ অধিকার দেওয়া হয়েছে ইসরায়েলকে।

রবিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, রবিবার থেকে কার্যকর হতে যাওয়া গাজা উপত্যকার যুদ্ধবিরতি চুক্তি হবে ‘অস্থায়ী’, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু শনিবার এমনটাই বলেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি দাবি করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তির পরবর্তী ধাপগুলো বাস্তবায়িত না হলে পুনরায় হামলা শুরু করার অধিকার দিয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েল ফিলাডেলফি করিডোরে সৈন্য সংখ্যা কমাবে না তবে প্রথম পর্যায়ে তাদের সংখ্যা বাড়াবে।

গাজায় তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করেছে কাতার। মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় বুধবার গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। চুক্তিতে পৌঁছানোর ঘোষণা দেওয়ার পরও গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া বার্তায় বলেছেন, চুক্তির উভয়পক্ষ ও মধ্যস্থতাকারীদের সমন্বয়ে গাজার স্থানীয় সময় ১৯ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮ টায় যুদ্ধবিরতি শুরু হবে।

ইসরায়েলের বিচারবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, চুক্তির প্রথম ধাপের অংশ হিসাবে রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে ৭৩৭ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

এ ছাড়া কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান বিন জসিম আল-থানি বলেছেন, প্রাথমিকভাবে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতিতে গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি ৩৩ জন মুক্তি পাবেন।

গাজার ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলি বাহিনী আরো পূর্ব দিকে সরে যাবে। এর ফলে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িতে ফিরতে পারবেন। এ ছাড়া ত্রাণবাহী শত শত ট্রাক প্রতিদিন গাজায় প্রবেশের সুযোগ পাবে।

চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় স্থান পাবে বাকি বন্দিদের মুক্তি এবং টেকসই শান্তির জন্য ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি। তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে আসবে গাজার পুনর্গঠন। এর জন্য অনকে বছর লেগে যেতে পারে। তবে হামাসের হাতে আর কেউ বন্দি থাকলে তাদের মুক্তির বিষয়টিও আলোচনায় আসবে এই ধাপে।

আমারবাঙলা/এমআরইউ

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

‘মরব, তাও গাজা ছাড়ব না’

ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড...

ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অনেকটা

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বা...

সুর পাল্টালেন জেলেনস্কি, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ

যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী ইউক্...

সুপেয় পানির কষ্ট, ৩০ ফুট গভীর থেকে সংগ্রহ

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ঘেড়...

সংসার ভাঙছে জাস্টিন-হেইলির

আরো একবার গভীর অন্ধকারে পথে পপ তারকা জাস্টিন বিবার...

৮ স্থলবন্দর বন্ধ করতে চান নৌ উপদেষ্টা

আয় না থাকায় বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার আটটি স্থলবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে...

একুশে পদক পাচ্ছেন ১৪ বিশিষ্টজন ও জাতীয় নারী ফুটবল দল

ভাষা আন্দোলন, শিল্পকলা, ভাষা ও সাহিত্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানে...

প্রশিক্ষণে যাওয়ার আগেই ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত!

নিয়মিত প্রশিক্ষণের আগে ভারতের একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬...

শেখ হাসিনাকে বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত রাখতে ভারতকে অনুরোধ বাংলাদেশের 

দিল্লিতে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সাবেক প...

শেখ হাসিনার সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়ায় ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুর

ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে অ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা