সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক

উপহারের প্রলোভনে বিয়েতে রাজি করানো হয় ইরাকের কিশোরীদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইরাকে ১৯৫০ সাল থেকে ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে নিষিদ্ধ। তবে জাতিসংঘের এক জরিপে দেখা গেছে, দেশটির ২৮ শতাংশ মেয়ের বিয়ে ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই হয়ে যাচ্ছে। বাস্তবেও তেমনটি দেখা যাচ্ছে।

দেশটিতে বাল্যবিবাহ রোধে আইন কঠোর করার পরিবর্তে আরো শিথিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেখানে একটি নতুন আইন পার্লামেন্টে চূড়ান্ত ভোটাভুটির অপেক্ষায় রয়েছে। ওই আইনে নয় বছর বয়সেও বিয়ের অনুমতির কথা বলা হয়েছে।

এদিকে ইরাকে মেয়েদের নানা উপহারের প্রলোভন দেখিয়ে বিয়েতে রাজি করানো হয়। কন্যার দরিদ্র বাবা-মাও উপহারের লোভে মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি হয়ে যান। প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবতার মাঝে ফারাকও দেখা গেছে। বিয়ের পর মেয়েদের মোহ ভেঙে যায়। অনেকে নির্যাতিতও হন।

পশ্চিম ইরাকের আনবার প্রদেশে ছোট দুই ভাই-বোনকে নিয়ে দরিদ্র পরিবারে বসবাস ১৭ বছর বয়সী হুদার (ছদ্মনাম)। মায়ের মাধ্যমে একই এলাকার এক ব্যাক্তির সঙ্গে হুদার বিয়ের প্রস্তাব আসে। এ প্রস্তাব ফেরানো সম্ভব হয়নি।

আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন ছিল হুদার। বিয়ের পর তাকে পড়াশোনা করার সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। মা তাকে বলেছিলেন, নিজের মেয়ের মতো করে রাখবেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন; কিন্তু বিয়ের পর সবকিছু বদলে যায়। হুদা বলেন, ‘শাশুড়ি আমাকে বলেন, তার মেয়েরা পড়াশোনা করছে; তাই বাড়িতে কাজে সহযোগিতার জন্য তার কাউকে প্রয়োজন।’

হুদার বিয়ে হয়েছিল ২০২১ সালে। এরপর এক বছর তার সংসার টেকে। এ সময় তাকে মারধর ও অপমান করা হয়। একপর্যায়ে স্বামী তাকে তালাক দেন। ফলে তাকে আবার নিজের বাড়িতে ফিরতে হয়।

আনবারের নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা দাতব্য প্রতিষ্ঠান সোকিয়া ফাউন্ডেশনের প্রধান কাওতহার আল-মোহাম্মদি বলেন, অধিকাংশ কিশোরী আশা করে, বিয়েতে তারা যৌতুক হিসেবে সাদা পোশাক, মেকআপ ও ফ্রিজভর্তি মিষ্টি পাবে। অনেক সময় মা-বাবার চাপ ছাড়াও বিয়েতে রাজি হয়ে যায় অনেকে। বাস্তবে যা ধাক্কা খাওয়ার মতো।
আল-দিয়ানিয়ার মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক আলী আজিজ বলেন, তালেবান ও আফগানিস্তান সংস্করণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ইরাক।

আজিজ বলেন, ইরাকে অনেক মেয়েকে জোর করে বা ধনসম্পদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিয়েতে প্রলুব্ধ করা হয়। আমাদের এখানে অনেক বাবা মেয়েকে বোঝা মনে করে তাদের থেকে পরিত্রাণ পেতে চান। তিনি মেয়েকে বিয়ে দিতে চান। মেয়েদের বোঝানো হয়,তোমার মোবাইল হবে, মেকআপ করতে পারবে, কেউ তোমাকে বাইরে বেড়াতে নিয়ে যাবে এবং তুমি গয়না কিনতে পারবে। তাদের প্রলুব্ধ করার ফলে তারা স্কুল বন্ধ করে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যায়।

আমারবাঙলা/এমআরইউ

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

কুষ্টিয়ায় ৮১ কিলোমিটার এলাকায় বিজিবির তৎপরতা

সাম্প্রতিক ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠে...

একই স্থানে সূর্যোদয়–সূর্যাস্ত দেখার অপার সৌন্দর্যের দ্বীপ রাঙ্গাবালী

পটুয়াখালীর সমুদ্রবেষ্টিত দ্বীপ উপজেলা রাঙ্গাবালী যেন লুকিয়ে থাকা এক টুকরো স...

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রকৃত সংখ্যা আজও নির্ধারণ হয়নি: মিজানুর রহমান

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক ভিত্তিকে ধ্বংস করেছে উল্লেখ কর...

শ্রীমঙ্গলে ‘হারমোনি উৎসব’ স্থগিত 

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রী...

পেকুয়ায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে ১৩ মাস বয়সী এক শিশ...

মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ ও শহিদ মিনারে সিএমপির শ্রদ্ধা

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছে চ...

মহান বিজয় দিবসে দেশবাসীকে তারেক রহমানের শুভেচ্ছা

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের সর্ব...

বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধায় সিক্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

আজ ১৬ই ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধ...

বড়দিন উপলক্ষ্যে বান্দরবানে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা

খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন–২০২৫ উপলক্ষ্যে বান...

মহেশখালীতে অবৈধভাবে মাটি কাটার অভিযোগে অর্থদণ্ড

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় অবৈধভাবে মাটি কাটার ও পরিবহনের অভিযোগে ভ্রাম্যমা...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা