একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খালাস পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার মো. মোবারক হোসেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় ঘোষণা করেন। ১১ বছর আগে দেওয়া দণ্ডাদেশের রায় বাতিল করে মোবারকের করা আপিল মঞ্জুর করে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়।
মোবারকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ইমরান এ সিদ্দিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
এই মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মোবারককে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিল। পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দুটি প্রমাণিত হওয়ায় একটিতে মৃত্যুদণ্ড এবং অন্যটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মোবারক। দীর্ঘ শুনানি শেষে চলতি মাসের ২২ জুলাই আপিল বিভাগের বেঞ্চ রায়ের জন্য ৩০ জুলাই দিন ধার্য করে।
এদিন সকাল পৌনে ১১টার দিকে রায় ঘোষণা করে আপিল বিভাগ। এতে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া দণ্ডাদেশ বাতিল করে মোবারককে সব অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়।
মোবারকের আইনজীবীরা জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে খালাস পাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম।
ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে বলা হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের সময় মোবারক জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন।
রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, '১ নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড ও ৩ নম্বরে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছিল। আজ দুই অভিযোগেই খালাস পেয়েছেন মোবারক। ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিল করা হয়েছে। অন্য কোনো মামলা না থাকলে তাঁর কারামুক্তিতে আর বাধা নেই।'
আমারবাঙলা/এফএইচ