নামের সাথে মিল থাকার অজুহাতে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার দিনমজুরকে আওয়ামী লীগ নেতা সন্দেহে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ৯ মে শুক্রবার গভীর রাতে কচুয়া উপজেলার মসনিগ্রাম থেকে কালাম খাঁ নামের এই দিনমজুরকে আটক করে কচুয়া থানা পুলিশ।
এদিকে কালাম খাঁকে গ্রেপ্তারের পর তার স্ত্রী খোদেজা বেগম পুলিশদের ১০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়েও স্বামীকে মুক্ত করতে পারেননি। সোমবার (১২ মে) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কান্না জড়িত কণ্ঠে এমন অভিযোগ করেন দিনমজুর কালাম খাঁর স্ত্রী খোদেজা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে খোদেজা বেগম বলেন, গত ৯ মে শুক্রবার গভীর রাতে কচুয়া থানা পুলিশ আমাদের বাড়ীতে প্রবেশ করে। এ সময় তারা আমার স্বামীকে কচুয়া উপজেলার বাধাল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বলতে থাকে এবং আপনার নামে মামলা আছে বলে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। এ সময় আমি তাদের বারবার বলতে থাকি, আপনারা যার কথা বলছেন, তিনি মোঃ কালাম খাঁ এবং তার পিতার নাম আয়ুব আলী। আর আমার স্বামীর নাম কালাম খাঁ এবং তার পিতার নাম বারেক খাঁ। এরপরও পুলিশ কোন প্রকার যাচাই-বাছাই না করে আমার স্বামীকে টেনে হিছড়ে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়। পরের দিন শনিবার সকালে আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যরা আমার স্বামীর ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে কচুয়া থানায় গেলে পুলিশ সদস্যরা আমাকে বলে ২৫ হাজার টাকা দিলে আপনার স্বামীকে ছেড়ে দেয়া হবে। কান্না জাড়িত কণ্ঠে খোদেজা বেগম আরো বলেন, আমি আমার কিছু স্বর্নালংকার বন্ধক রেখে ১০ হাজার টাকা জোগাড় করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও তারা আমার স্বামীকে ছেড়ে না দিয়ে উল্টো রাজনৈতিক হয়রানী মূলক মামলায় চালান করে দেয়।
এ বিষয়ে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাঃ রাশেদুল আলম বলেন, নাশকতা মামলায় অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে কালাম খাঁকে আটক করা হয়। কালাম খাঁ কচুয়া উপজেলার বাধাল ইউনিয়নে মসনি গ্রামে শ্বশুর বাড়ীতে বসবাস করেন। তার বাবার নাম আয়ুব আলী। তিনি বাধাল ইউনিয়নের কলমিবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আইডি কার্ডে পিতা হিসেবে বারেক খাঁর নাম উল্লেখ করেছেন। মূলত বারেক খাঁ তার শ্বশুরের নাম। তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে এ কৌশল অবলম্বন করেছেন। আর ১০ হাজার টাকা ঘুষের বিষয়টি মিথ্যা-বানোয়াট ও ভিত্তিহিন।
আমারবাঙলা/ইউকে