কয় দিন আগে সৌদি সুপার কাপের শিরোপা লড়াইয়ে হেরেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এবার লিগস কাপের ফাইনালে একই তেতো অভিজ্ঞতার মুখোমুখি লিওনেল মেসিও। বাংলাদেশ সময় সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ভোরে অনুষ্ঠিত ফাইনালে সিয়াটল সাউন্ডার্সের কাছে হেরেছে মেসির দল ইন্টার মায়ামি। ব্যবধানটাও বড়সড়ই—সিয়াটল ৩, মায়ামি ০।
এই হারে মেসির ৪৭তম শিরোপা হাতে তোলার অপেক্ষা আরও দীর্ঘায়িত হলো। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাইয়ে আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকা জিতেছিলেন তিনি।
সিয়াটলের লুমেন ফিল্ডে প্রায় ৭০ হাজার দর্শকের সামনে আক্রমণ ও বল দখলে এগিয়ে থাকলেও সুযোগ তৈরিতে পিছিয়ে ছিল মায়ামি। ৬৮ শতাংশ বলের দখল রেখে ১০টি শট নিলেও একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি তারা। অন্যদিকে মাত্র ৩২ শতাংশ বলের দখল রাখা সিয়াটল ১১ শটের ৭টিই রেখেছে লক্ষ্যে। এর ফলাফলও অবশ্য স্পষ্ট। ম্যাচের প্রথমার্ধে এক গোল এবং দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুই গোল আদায় করে নেয় ওয়াশিংটনের ক্লাবটি।
এদিন ম্যাচের ২৬ মিনিটে সিয়াটলকে এগিয়ে দেন ওসাজে ডি রোজারিও। ক্রিস্টিয়ান রোলডানের দুর্দান্ত এক ক্রসে হেড দিয়ে গোলটি করেন রোজারিও। পিছিয়ে পড়ে মরিয়া চেষ্টা করে মায়ামি। কিন্তু বারবার কাছাকাছি গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে তারা। বিশেষ করে ৫০ মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন মেসি। সুয়ারেজের দারুণভাবে বাড়িয়ে দেওয়া বলটি অবিশ্বাস্যভাবে পোস্টের ওপর দিয়ে বাইরে পাঠান মেসি।
এই ফাইনালে অবশ্য সব মিলিয়ে ভুলে যাওয়ার মতোই একটি ম্যাচ খেললেন মেসি। ৯০ মিনিট মাঠে থেকে ৫টি শট নিয়েছেন, সবই লক্ষ্যভ্রষ্ট। পুরো সময়ে শুধু একটি সুযোগই তৈরি করতে পেরেছেন। এমনকি ছয়বার ড্রিবলের চেষ্টা করে সফল হয়েছেন মাত্র একবার।
অন্যদিকে মেসির নিষ্প্রভ থাকার দিনটিকে কাজে লাগাতে ভুল করেনি সিয়াটল। ম্যাচের ৮৪ ম্যাচে পেনাল্টি গোলে সিয়াটলের জয় একরকম নিশ্চিত করে ফেলেন রোলডান। বিপজ্জনকভাবে বক্সে ঢুকে পড়া গিওর্গি মিনুংগুকে থামাতে গিয়ে তাঁকে ফাউল করে সিয়াটলকে এই পেনাল্টি উপহার দেন মায়ামির ইয়ান্নিক ব্রাইট।
এই গোলের পর মায়ামির ক্ষত বাড়িয়ে ৮৯ মিনিটে আরও একটি গোল করে সিয়াটল। এ দফায় দারুণ এক শটে লক্ষ্য ভেদ করেন পল রথরক। এই গোলেই নিশ্চিত হয় লিগস কাপের ফাইনালে মায়ামির বড় হার। এরপর ম্যাচ শেষে মাঠের লড়াইয়ে জিততে না পারার হতাশায় সিয়াটলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন মায়ামির খেলোয়াড়েরা। এ সময় মারামারি থামাতে হস্তক্ষেপ করতে হয় কর্মকর্তাদের।
আমারবাঙলা/জিজি