জাতীয়

অভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ মারা গেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ (২৩) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান আবদুল্লাহ।

এ নিয়ে এই আন্দোলন ঘিরে গত ১৬ জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত ৭৬৭ জনের মারা যাওয়ার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে। সরকার এখন পূর্ণাঙ্গ তালিকা করছে। খসড়া তালিকায় নিহতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছে ৮৭২ জন (৩০ অক্টোবর, ২০২৪)।

আবদুল্লাহ পুরান ঢাকার সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আলীম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আবদুল্লাহর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুরান ঢাকার বংশাল থানার সামনে আবদুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর কপালে গুলি লাগে। তিনি প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা রাস্তায় পড়ে ছিলেন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতাল নেওয়া হয়। পরে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। পরে তাঁকে ছাড়পত্র দিলে তিনি বাড়িতে চলে যান। তবে বাড়ি যশোর যাওয়ার পর তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলে তাঁকে আবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসকেরা তাঁর মাথার ভেতরে সংক্রমণ শনাক্ত করেন। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত ২২ আগস্ট তাঁকে ঢাকার সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটির সিএমএইচের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নুসরাত জাহান বলেন, আবদুল্লাহর বাড়ি যশোরের বেনাপোল। তিনি শুরু থেকেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।

আমার বাঙলা/ এসএ

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজি, নোমানসহ ২ নারী গ্রেফতার

উত্তরায় ‘সমন্বয়ক পরিচয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে নোমানসহ ২ নারীক...

জাকসুর ভিপি জিতু, জিএস মাজহারুল

অবশেষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্...

নির্বাচনের আগেই সংবিধান সংস্কার 

সাংবিধানিক সংস্কার কার্যকরে আগামী ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই জাত...

এখন ইয়ামাল মায়ের মুখে শুধু হাসিই দেখেন

সাক্ষাৎকারে ফুটবল ক্যারিয়ারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের কিছু দিকও সামনে এনেছে...

সুশীলা কারকির উত্থান যেভাবে

নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্...

ডিজিটাল অর্থনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণে বাড়ছে প্রবৃদ্ধির গতি

গত এক দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতি এক অবিশ্বাস্য রূপান্তর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে...

রাস্তা অবরোধ করার অধিকার কারো নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ফরিদপুরের সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাস্তা অবরোধের ঘট...

শহীদ রফিক হত্যা: নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাকিব গ্রেপ্তার

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ রফিক হত্যা মামলার অন্যত...

কক্সবাজারে স্ত্রীকে ধর্ষণের পর তার সামনে স্বামীকে হত্যা, ঘাতক আটক

কক্সবাজার শহরের উত্তরণ আবাসিক এলাকায় এক চাকমা যুবককে জবাই করে হত্যার পর তার স...

সোনা চোরাচালানে জড়াচ্ছেন বিমানের ক্রুরা, ‘লঘু শাস্তিতে’ রেহাই

আকাশপথে সোনা চোরাচালান চক্রে জড়াচ্ছেন রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা