নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, পরিবেশ রক্ষায় জনগণকে সচেতন করতে পারাটাই ক্লাইমেট পার্লামেন্টের সার্থকতা।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবেলায় ক্লাইমেট পার্লামেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশ্বের ৭৪টি দেশে বর্তমানে তারা কাজ করছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীতে শেরাটন হোটেলে ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের নবনির্বাচিত কমিটির ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্পিকার।
ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের সভাপতি তানভীর শাকিল জয় এমপি অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এরপর তিনি নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের আহবায়ক নাহিম রাজ্জাক এমপি, ক্লাইমেট পার্লামেন্টের চীফ প্যাট্রন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি বক্তব্য রাখেন। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়া সেক্রেটারিয়েটের ক্লাইমেট পার্লামেন্টের পলিসি অ্যাডভাইজর সুমেধা বসু, ক্লাইমেট পার্লামেন্টের ফাউন্ডার ও চীফ স্ট্রাটেজি অফিসার নিক ডানলপ ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘের পরিবেশ-বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পরিবেশ সংরক্ষণে মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্লান, ডেলটা প্লানসহ প্রয়োজনীয় আইন ও নীতি বাস্তবায়ন করেছেন।
বাংলাদেশের নদী দূষণের কথা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, বাড়ির পাশের প্রবাহিত নদী দূষণমুক্ত রাখার জন্য সচেতনতা তৈরীতে স্থানীয় জনসাধারণকেই ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবেলায় জলবায়ু সহনীয় কৃষি, অর্গানিক ফার্মিং এবং গ্রীন এন্ট্রেপ্রেনারশিপ চালু করতে হবে। তিনি বলেন, বিশ্বকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
স্পিকার বলেন, ক্লাইমেট পার্লামেন্টের সদস্যরা সকলে সংসদ সদস্য হলেও জাতীয় সংসদের সাথে এর কোন পার্টনারশিপ নেই। জাতীয় সংসদ ক্লাইমেট পার্লামেন্টের সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে কাজ করতে এবং সকল ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে। এসময় তিনি নবগঠিত কমিটিকে অভিনন্দন জানান।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুয়, আরমা দত্ত এমপি, আবুল কালাম আজাদ এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, এস এম শাহজাদা এমপি, আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী এমপি, নিজাম উদ্দিন জলিল জন এমপি, হাবিবুর রহমান এমপি, মাহবুব উর রহমান রুহেল এমপি, কোহেলি কুদ্দুস মুক্তি এমপি, জারা জাবিন মাহবুব এমপিসহ ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও নেপালের রাষ্ট্রদূত, ক্লাইমেট পার্লামেন্টের সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন দেশের ক্লাইমেট পার্টনার্স, এনজিও'র প্রতিনিধি, আমন্ত্রিত অতিথি এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            