নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য শেখ হাসিনাকে দরকার।
তিনি বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট নগরীর ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে (নৌকা) মার্কার সমর্থনে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ নির্বাচনী জনসভায় একথা বলেন।
এসময় ড. মোমেন বলেন, বিশ্ব এখন বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে,এই অঞ্চলের শান্তি স্থিতিশীলতার জন্য শেখ হাসিনাকে দরকার। প্রয়োজন তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার। তিনি বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যৎ, শান্তি ও উন্নয়নে নৌকায় ভোট দিতে জনগণকে আহবান জানান।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে আতঙ্কের কোন কারণ নেই। উৎসবমুখর পরিবেশে দলে দলে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দান করবেন। একটি সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করতে চাই যে, আমরা আওয়ামীলীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।
জনসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন সার্বভৌম দেশ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে বাস্তব রূপ দিতে নিরলসভাবে কাজ করছেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন, যেখানে একে একে মানুষের সব মৌলিক অধিকার পূরণ করবে সরকার।
দেশের উন্নয়নের জন্য, জনগণের মঙ্গলের জন্য আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই এ কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিলেটবাসীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। কারণ আমাকে তাদের আমানত ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছিলেন বিগত নির্বাচনে। আমাকে নির্বাচিত করার ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন এবং বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ হয়। ইতিপূর্বে আমার বড় ভাই প্রয়াত আবুল মাল আবদুল মুহিতকে দুইবার ভোট দিয়ে আপনারাই নির্বাচিত করেছিলেন এবং সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আমি সৌভাগ্যবান প্রধানমন্ত্রী আমাকে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন।
দলের স্বার্থে ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সম্মান জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক তিনবারের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, এটাই হচ্ছে আমাদের সিলেটের ঐতিহ্য। আমরা দল মত নির্বিশেষে সিলেটের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। এজন্য আমদের মধ্যে পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। সেটা বিরল দৃষ্টান্ত বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়জুল আনোয়ার আলাওরের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদের সঞ্চালনায় এতে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান নেতা হলেন সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি সিলেট অঞ্চলকে আলোকিত করেছেন। তিনি বলেন, সিলেট-১ আসন থেকে যে দলের প্রার্থী বিজয়ী হয়, সেই দল ক্ষমতায় যায়। সেই মিথ থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা তার বিশ্বস্ত সহকর্মী ড.একে আব্দুল মোমেনকে এই আসনে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছেন। তিনি গত নির্বাচনে এই আসন থেকে বিজয়ী হয়ে সিলেটকে আলোকিত করেছেন। এবারও আমরা তাকে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী করার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসাতে হবে।
আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশকে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়ে গেছেন পররাষ্টমন্ত্রী। হয়তো আমরা তাকে পাই না, কারণ তিনি বিদেশ বিষয়ক মন্ত্রী, বেশি সময় তাকে বিদেশ নিয়ে থাকতে হয়। কিন্তু তিনি এই সিলেটের মান-সম্মান ও মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তাই আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে আমরা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করে তাকে আবারও জাতীয় সংসদে পাঠাতে চাই।
জনসভায় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির নির্বাহী সদস্য আজিজুর সামাদ আজাদ ডন, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালিক, নুরুল ইসলাম পুতুল, আঞ্জুমানে আল ইসলার সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানসহ আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। জনসভায় সিলেট-১ আসনের বিভিন্ন এলাকা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে দলীয় নেতাকর্মী সহ সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক লোক নির্বাচনী শেষ এ জনসভায় যোগ দেন।
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            