সংগৃহীত
রাজনীতি
রায় বৃহস্পতিবার

আব্বাসের সম্পদ বাজেয়াপ্তসহ হতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৬ বছর আগে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার রায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে। মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি দুদকের। ফলে সংস্থাটি বিএনপির এ নেতার সবোর্চ্চ শাস্তি ১৩ বছরের কারাদণ্ড প্রত্যাশা করছে। একই সঙ্গে তার সম্পদ বাজেয়াপ্তের প্রত্যাশাও দুদকের।

তবে মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরীর দাবি, দুদকের আনা অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। দুদক অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। রায়ে মির্জা আব্বাস খালাস পাবেন বলে প্রত্যাশা রয়েছে।

২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন দুদক উপ-পরিচালক মো. শফিউল আলম। মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সাত কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সাত কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়

তদন্তে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে চার কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত এ মামলার দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালীন আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

এ মামলায় মির্জা আব্বাসসহ পাঁচজন সাফাই সাক্ষ্য দেন। তাদের মধ্যে অন্য চারজন হলেন- অ্যাডভোকেট এ কে এম শাহজাহান ও এনআরবি ব্যাংকের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট নুরুল হোসেন খান, শাহজাহান মিয়া ও কাজী শিফাউর রহমান হিমেল।

গত ২২ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম। ওইদিন কারাগার থেকে মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করা হয়।

সহায় সম্পত্তির ঘোষণা সংক্রান্ত দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬(১) ধারায় বলা হয়েছে, কমিশন কোনো তথ্যের ভিত্তিতে এবং উহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় [অনুসন্ধান] পরিচালনার পর যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোনো ব্যক্তি, বা তাহার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি, বৈধ উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পত্তির দখলে রহিয়াছেন বা মালিকানা অর্জন করিয়াছেন, তাহা হইলে কমিশন লিখিত আদেশ দ্বারা উক্ত ব্যক্তিকে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে দায়-দায়িত্বের বিবরণ দাখিলসহ উক্ত আদেশে নির্ধারিত অন্য যে কোনো তথ্য দাখিলের নির্দেশ দিতে পারিবে।

এবি/এইচএন

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

চূড়ান্ত পর্যায়ে জুলাই জাতীয় সনদ, ঐকমত্যের পথে কঠিন বাঁধা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ৫ আগস্ট ‘জুলাই জাতীয় সনদ&r...

৫ আগস্টের মধ্যেই জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: মাহফুজ আলম​​​​​​​

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম নিশ্চিত করেছেন, ৫ আগস্টের মধ্যে...

এবার নিষিদ্ধ হলেন মেসির দেহরক্ষী

কদিন আগে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) লিওনেল মেসির এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে ঘটে...

‘বেকায়দায়’ রিয়াল মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষ

বিশ্বের বেশির ভাগ ফুটবলারের স্বপ্ন থাকে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলার। রিয়ালে আসা...

যৌনকর্মী হতে বাধ্য হয়েছিলেন এই নায়িকা

একসময় তাঁর জীবনে আলোর অভাব ছিল না। অভিনয়ে এসেই পেয়ে গিয়েছিলেন বি আর চোপড়ার মত...

তেল আবিব ভুতুড়ে নগরীতে পরিণত হবে : আয়াতুল্লাহ হুঁশিয়ারি

ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করলে তেল আবিব ভুতুড়ে নগরীতে পরিণত হবে বলে হুঁশিয়ারি...

গুলিস্তানে সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে ভয়াবহ আগুন, কাজ করছে ১১ ইউনিট

রাজধানীর গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের ৫ তলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা