নিজস্ব প্রতিবেদক: অবশেষে চলতি মাসেই প্রাথমিক শিক্ষকদের অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। অনলাইনে বদলির জন্য বানানো সফটওয়্যারের হালনাগাদ কাজ শেষ পর্যায়ে। এরপর পাইলটিং করে চলতি বছরের বদলির প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত বছরের মতো এবারও উপজেলা থেকে উপজেলায় বদলি দিয়ে কার্যক্রম শুরু হবে। আর শেষ হবে মহানগর এবং সিটি কর্পোরেশনের বদলির মাধ্যমে।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতি চালু হয়। অনলাইনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। এজন্য নির্ধারিত একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে নির্ধারিত আইডি ব্যবহার করে শিক্ষকদের বদলির জন্য আবেদন করতে হয়। এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ওই শিক্ষক বদলির যোগ্য কি না বা কোন বিদ্যালয়ে বদলি হবেন, তা নির্ধারণ হবে।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, বদলির প্রথম ধাপে উপজেলা থেকে যারা উপজেলার মধ্যে বদলি হতে চান তারা সুযোগ পাবেন। এরপর জেলার মধ্যে, এক জেলা থেকে অন্য জেলায়, এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগ এবং সর্বশেষ মহানগরের মহানগর এবং সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে বদলি সম্পন্ন হয়।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ হয় উপজেলাভিত্তিক। তাই সাধারণ নিয়মে উপজেলার মধ্যেই শিক্ষকদের বদলি হতে হবে। তবে বিশেষ কারণে উপজেলা বা জেলা পরিবর্তনেরও সুযোগ আছে।
অনলাইনে বদলি যেভাবে
বদলিপ্রত্যাশী শিক্ষক প্রথমে অনলাইনে বদলির আবেদন করবেন। আবেদনটি প্রাথমিকভাবে অনলাইনেই যাচাই করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পাঠাবেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। উপজেলা কর্মকর্তা অনলাইনেই যাচাই করে পাঠাবেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিপিইও) কাছে। ডিপিইও সেটি মঞ্জুর বা নামঞ্জুরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে পাঠিয়ে দেবেন আবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। ডিপিইওর সিদ্ধান্তের আলোকে উপজেলা কর্মকর্তা বদলির বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ জারি করবেন। এরপর সংশ্লিষ্ট শিক্ষক তার আবেদনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনলাইনেই জেনে যাবেন।
তিন ধাপের এ যাচাইয়ে প্রত্যেক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তিন দিন করে সময় পাবেন। এই তিন দিনের মধ্যে যাচাই করে নিষ্পত্তি না করলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাচাইয়ের জন্য নিয়োজিত পরবর্তী ব্যক্তির কাছে চলে যাবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ৬১৭ জন। শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫ জন।
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            