রংপুরের গঙ্গাচড়ার হিন্দু অধ্যুষিত আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগকে কেন্দ্র করে বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ পাঠানো এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় একজন ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাতনামা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর যৌথ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার গ্রামের এক কিশোর ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে ‘অবমাননাকর’ পোস্ট দিলে তা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ওই কিশোরকে সেদিন রাতেই আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করে পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাকে শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
তবে কিশোরকে থানায় নেওয়ার পরপরই উত্তেজিত জনতা মিছিল করে তার বাড়ির সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। রাত ১০টার দিকে একদল লোক কিশোরের এক স্বজনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরদিন রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে জনতা আবারও হিন্দু বসতিতে হামলা চালালে পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সংঘর্ষে পুলিশের এক কনস্টেবল গুরুতর আহত হন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রশাসন জানায়, হামলায় অন্তত ১৫টি বসতবাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে রংপুর জেলা পুলিশ সুপার ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলাকারীদের শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
আমারবাঙলা/এফএইচ