ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দাবিতে ফের আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এই বিক্ষোভ শুরু হয়।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন এখনো মৃত্যুর তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। এতে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তদন্ত রিপোর্ট দিতে না পারলে প্রশাসনকে ‘গদি ছেড়ে দেওয়ার’ সময় এসেছে।
বিক্ষোভকারীরা ‘পারলে আজই রিপোর্ট দে, নইলে গদি ছাইড়া দে’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘উই উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘সাজিদ হত্যার বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
তাদের দাবি, সাজিদের লাশ উদ্ধারের পরও প্রশাসনের কেউ ঘটনাস্থলে যায়নি। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশে সময়ক্ষেপণের কারণে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ।
বেলা ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ আন্দোলনস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, সাজিদের মৃত্যুর বিষয়টি আমিও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। কোনোভাবেই আমরা এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে চাই না। তদন্ত কমিটি যদি রহস্য উদঘাটন করতে না পারে, তাহলে সিআইডি, পিবিআই কিংবা বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে। প্রয়োজনে আমি নিজেই পদক্ষেপ নেব।
তিনি আরও জানান, ভিসেরা রিপোর্টের জন্য ইতিমধ্যে ডিআইজিকে বলেছি। রিপোর্ট হাতে পেলেই তদন্ত কমিটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে পারবে। আগামী রবিবারের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছি।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, সাজিদের সুরতহাল, ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে। রিপোর্ট হাতে পেলে আমরা দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেব।
বিক্ষোভ শেষে শিক্ষার্থীরা জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট প্রকাশ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশরাফী, আল-কুরআন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মিঝি, জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান, ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আমারবাঙলা/এফএইচ