দিনাজপুরের বিরল উপজেলার আরসিসি কাটার ব্রিজ নির্মাণকাজ দীর্ঘদিন ধরে সরঞ্জাম সংকটে আটকে আছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রিজটির শুরু এবং শেষ অংশের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও মাঝের অংশের কাজ থেমে আছে।
নির্মাণাধীন ব্রিজটির দৈর্ঘ্য ২৫০ মিটার এবং এটি দিনাজপুর সদর উপজেলার ৬ নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ঘুঘুডাঙ্গা মান্ত্রীপাড়া থেকে বিরল উপজেলার ১১নং পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বুজুরুক বসন্তপুর এলাকাকে সংযুক্ত করবে। ২৭ কোটি ৬৮ লাখ ৮৩ হাজার ২৬৭ টাকার বাজেটে নির্মাণাধীন এই প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে। এটি পরিচালনা করছে দিনাজপুর এলজিইডি এবং নির্মাণ কার্যক্রমের দায়িত্বে রয়েছে তমা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কো. লিমিটেড।
প্রকল্প সূত্র জানা গেছে, ব্রিজ নির্মাণে ব্যবহৃত বিশেষ উপাদান পিসি স্ট্র্যান্ড (১২আইটি১৩ওয়্যার) দেশের বাজারে অনুপলব্ধ থাকায় কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। কাজ সম্পন্ন না করার কারণ জানতে চাইলে ঠিকাদার মো, ইসহাক আলী বলেন, দেশের বাজারে বিভিন্ন আমদানিকারকের নিকট কাঙ্খিত পিসি
স্ট্র্যান্ড (১২আইটি১৩ওয়্যার) না পাওয়ার কারণে ব্রিজের কাজটি সম্পন্ন করতে বিলম্ব হচ্ছে।
এ ব্যাপারে এলজিইডি দিনাজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদুর রহমান বলেন, পিসি স্ট্র্যান্ড (১২ আইটি ১৩ ওয়্যার) না পাওয়ার কারণে সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রত সমাধান বের করে ব্রিজটির কাজ শেষ করার।
ব্রিজটি চালু হলে দিনাজপুর সদর থেকে বিরল উপজেলার বুজুরুক বসন্তপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। এতে কৃষি পণ্য পরিবহণ ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধি পাবে। স্থানীয় বাসিন্দা কামরুল ইসলাম বলেন, এই ব্রিজটি আমাদের এলাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় আমাদের যাতায়াতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। নৌকায় পারাপার করতে সময় ও অর্থ দুটোই বেশি লাগছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রত কাজ সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহবান জানান।
আমারবাঙলা/ইউকে
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            