সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ সুদের মহাজনের চাপ সইতে না পেরে কানু সরকার নামে এক থাই ব্যবসায়ীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকালে উপজেলার নতুনপাড়ার রবিন্দ্র ভৌমিকের ভাড়াটিয়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত কানু সরকার দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউপির হাসিমপুর গ্রামের প্রয়াত অমরচাঁদ সরকারের ছেলে।
আত্মহত্যার আগে একটি চিরকুট লিখে যান কানু সরকার। এতে তিনি লেখেন, ‘বড়া বড় (বরাবর) জামালগঞ্জ থানা অসি (ওসি) স্যার, আমি বিচার চাই, আমি কানু বাবু আপনার কাছে বিচার চাই। ৫৫ হাজার টাকা মাসুকের কাছ থেকে নিয়ে লাভসহ ৮০ হাজার টাকা দিয়েছি। তারপরেও মাসুক আমাকে হুমকি দেয় যে, টাকা না দিলে পিটিয়ে টাকা আদায় করিবে। এই ভয়ে আমি আমার জীবন ত্যাগ করিলাম। আজ তিনটার ভেতর টাকা না দিলে আমার বাসার মালামাল নিয়ে যাবে। এ বিষয়ে নিচতলার স্বপন জানে। আমি বিসার (বিচার) ছাই (চাই)। ইতি কানু বাবু। এই (আমার) মরার দায় মাসুক ও তার বউ।’
এ বিষয়ে কানু সরকারের স্ত্রী প্রতিমা তালুকদার একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলার এজহারে তিনি উল্লেখ করেন, কানু সরকার দিরাই থেকে এসে জামালগঞ্জ নতুন পাড়ায় থাই গ্লাসের ব্যবসা করতেন। এতে অর্থ সংকট দেখা দিলে তেলিয়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মাসুকের কাছ থেকে ৫৫ হাজার টাকা সুদে নেন। নিয়মিত সুদ দেওয়ার পরেও দুই মাস বিভিন্ন সমস্যায় দিতে না পারায় আমার স্বামীকে বারবার হুমকি দেন। তিনি বলেন, বিকাল ৩টার মধ্যে সুদসহ সব টাকা না দিলে বাসার সব মালামাল নিয়ে যাবেন তিনি। আমি তখন আমার বাবার বাড়ি দিরাই ছিলাম। দিরাই থেকে মোবাইলের মাধ্যমে খবর পাই আমার স্বামী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। দোষীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আমারবাঙলা/জিজি