নরসিংদীর রায়পুরায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই পক্ষ। সোমবার (২১ জুলাই) ভোরের দিকে উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ গ্রামে হওয়া এ সংঘর্ষে মোমেনা বেগম (৪৫) নামের এক নারী প্রাণ হারিয়েছেন। তিনজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মোমেনা বেগম সায়দাবাদ গ্রামের আক্তার হোসেনের স্ত্রী। গুলিবিদ্ধরা হলেন, সায়দাবাদ গ্রামের মোতালিব মিয়ার ছেলে তাজু (৩৮), মৃত কালু মিয়ার ছেলে কফিল উদ্দিন (৫৫) ও আলম মিয়ার ছেলে রানা (২০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সায়দাবাদ গ্রামের হানিফ মাস্টার গ্রুপ ও এরশাদ গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দুপক্ষ একাধিকবার মারামারি ও হামলায় জড়িয়েছে। হয়েছে একাধিক মামলাও।
পূর্বের বিরোধ ও আধিপত্য নিয়ে সোমবার ভোর ৫টার দিকে এরশাদ গ্রুপের সমর্থকরা টেঁটা, বল্লম, দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হানিফ সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। করা হয় গুলিও। এতে চারজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ মোমেনাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজানা আরও বেড়ে যায়।
খবর পেয়ে রায়পুরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ প্রতিবেদন লেখা পযর্ন্ত দুপক্ষের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।
রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রবীর ঘোষ বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হানিফ মাস্টার গ্রুপ ও এরশাদ গ্রুপের সদস্যরা সংঘর্ষে জড়ায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক নারী মারা গেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আমারবাঙলা/জিজি