সংগৃহীত
জাতীয়
"নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা প্রয়োগে নির্লিপ্ততা"

প্রকৃত অবস্থান তুলে ধরেছে ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা প্রয়োগে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন নির্লিপ্ত— গণমাধ্যমে বিশিষ্টজনদের দেওয়া এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসি। কমিশন বলছে, টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে এবং পত্রপত্রিকায় বিশিষ্টজনদের বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ‘নির্লিপ্ত’ ইস্যুতে ইসির প্রকৃত অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে।

ইসির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশিষ্টজনদের কেউ কেউ টকশোতে বা পত্রপত্রিকায় মন্তব্য করছেন যে নির্বাচন কমিশন আচরণ বিধিমালার প্রয়োগ বিষয়ে নির্লিপ্ত। গণমাধ্যমে প্রচারিত বিশিষ্টজনদের এমন মনগড়া বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে। সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা বিনষ্টের মাধ্যমে তা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে, যা মোটেই কাম্য নয়। এ কারণে আইন ও বিধির প্রকৃত অবস্থান প্রকাশ করা হলো—

(ক) জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন ও উপনির্বাচনে প্রচারণা বিষয়ে আচরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজনৈতিক প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ নামে একটি সংবিধিবদ্ধ বিধিমালা রয়েছে। এই বিধিমালার ৫নং বিধি অনুযায়ী রাজনৈতিক দল, মনোনীত প্রার্থী কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বিধিমালার ৬ থেকে ১৪নং বিধিতে বর্ণিত নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে আচরণবিধির মূল বিষয় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী। প্রার্থী দলের পক্ষে মনোনীত প্রার্থী হতে পারেন বা স্বতন্ত্র হতে পারেন। বিধিমালার ১২নং বিধিতে ২১ দিন আগের কথা বলা হয়েছে। এর অর্থ প্রার্থীরা প্রচারণার জন্য ২১ দিনের বেশি সময় পাবেন না।

(খ) রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনীত বা স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থী আইন ও আচরণবিধির অর্থে প্রার্থী নন। নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগ হবে রিটার্নিং অফিসার বাছাই, আপিলের সিদ্ধান্ত ইত্যাদি সম্পন্ন করে কোনো একটি নির্বাচনী এলাকার জন্য প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করে প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে প্রচারণার জন্য মাঠ উন্মুক্ত করার পর। তখন ওই নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থীদের সবাই সমভাবে একেকজন প্রার্থী হবেন। সেসময় থেকে তাদের ক্ষেত্রে আচরণ বিধিমালা প্রযোজ্য হবে। আচরণ প্রতিপালন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ১২নং বিধিতে ২১ দিন আগে কোনো প্রার্থীর দ্বারা বা প্রার্থীর পক্ষে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা নিষিদ্ধ। প্রার্থীদের জন্য প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারের সময় চলতি বছরের ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর তারিখের আগে কোনো ব্যক্তির প্রার্থী হওয়ার আইনগত সুযোগ নেই। ফলে আগে কোনো নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে নির্বাচনী প্রচারণারও সুযোগ নেই।

এবি/এইচএন

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

এক লাফে ট্যারিফ বাড়ল গড়ে ৪০ শতাংশ

বন্দর ব্যবহারকারীদের আপত্তি উপেক্ষা করেই নতুন ট্যারিফের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়...

সুপার ফোরে যেতে যে সমীকরণ মেলাতে হবে বাংলাদেশকে

এশিয়া কাপের ‘বি’ গ্রুপে শ্রীলঙ্কাকে প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল হংকং। জ...

বগুড়ায় মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

বগুড়ার শিবগঞ্জে এক নারী ও তার কলেজপড়ুয়া ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা...

যেখানেই থাকুন, হামাস নেতারা রেহাই পাবেন না: নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, কাতারে গত সপ্তাহের হামলা...

ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন নির্দেশনা

ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা আরও সুশৃঙ্খল করতে সরকারি হাসপাতালগুলোকে নতুন নির্দেশনা...

আজ বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

ভারতে বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রা...

গুদামে নিম্নমানের চাল নিয়ে তোলপাড় রাজশাহী খাদ্য বিভাগে 

রাজশাহীতে খাদ্য বিভাগের দুটি গুদামে নিম্নমানের চাল পাওয়া গেছে। সর্বশেষ মঙ্গলব...

তপশিলের আগেই ৭০% প্রার্থী ঘোষণার প্রস্তুতি, যাদের সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির...

ছেলের বন্ধুরা আমাকে ‘দিদি’ বলে ডাকে: শ্রাবন্তী

আসন্ন দুর্গাপূজায় মুক্তি পাচ্ছে ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাট...

২৬ সেপ্টেম্বর থেকে টানা ১২ দিনের ছুটি পাওয়ার সম্ভাবনা

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-কলেজে শুরু হ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা