সংগৃহিত
বাণিজ্য

এবার বাড়লো ডালের দাম

বাণিজ্য ডেস্ক: গত বছর থেকেই একের পর এক নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় বেকায়দায় পড়েছে সাধারণ মানুষ। চলতি বছরের শুরু থেকে চালের বাজারে অস্থিরতা চলছে। এবার ডালের দামও বেড়েছে। সেই সাথে মাছ, মাংস ও সবজির চড়া দাম অব্যাহত আছে দীর্ঘদিন ধরেই।

রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে সদাই করতে আসা সিদ্ধিরগঞ্জের বাসিন্দা নুরুল আনাম জানান, নিত্যপণ্যের চড়া দামে মনের শান্তি উধাও তার। জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির এমন অস্বস্তিকর চিত্র তিনি আগে কখনো দেখেননি।

তিনি বলেন, পণ্যদ্রব্যের দাম বেড়ে গেছে। সেই তুলনায় আয় বাড়েনি। আয় স্থির থাকলে এবং ব্যয় বেড়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।

নতুন সরকারের আমলে খানিকটা হলেও নিত্যপণ্যের দাম কমবে- এমন আশায় বোকা বনে গেছে সাধারণ মানুষ। বরং দিনের পর দিন সাধ্যের সীমা নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

আরেক ক্রেতা বলেন, সবকিছুর দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে। কেবল সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই দ্রব্যমূল্যে লাগাম টানা যাবে। দাম বাড়ার নির্দিষ্ট কারণ না পাওয়া গেলেও দায় এড়ানোর প্রবণতা খুচরা বা পাইকারি বিক্রেতা থেকে মজুতদার সবার।

যেমন- বাবুবাজার থেকে পাইকারিতে ৬৪ টাকা দরে মিনিকেট চাল এসেছে শান্তিনগর বাজারের নাহিদ রাইস স্টোরে। অথচ গত ৩ জানুয়ারি তা ছিল ৬০ টাকা।

দাম বৃদ্ধির মাত্রা অস্বাভাবিক মনে হলেও কারণ জানা নেই খুচরা বিক্রেতা আবদুল মাবুদের। তিনি জানান, হঠাৎ এক বস্তা চালের দাম ২০০-৩০০ টাকা বেশি হয়ে গেলে সাধারণ মানুষের জন্য কেনা কঠিন হয়ে যায়।

বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশনের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, মাত্র সপ্তাহ ব্যবধানে দেড় থেকে ৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে চালের দাম। কেবল চাল নয়, গরিবের আমিষের প্রধান উৎস ডালের দামেও লেগেছে উত্তাপ।

বর্তমানে খুচরা বাজারে মুগ ডাল ১৬৮ টাকা, বুটের ডাল ১০৮ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৭৫ টাকা, মসুর ডাল ১৪০ টাকা, ছোলার ডাল ৯৬ টাকা, খেসারির ডাল ১০০ টাকা, ডাবলি ৭২ টাকা ও মোটা ডাল ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, এক সপ্তাহ আগেও মুগ ডাল ১২০-১৩০ টাকা, বুটের ডাল ৯০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৬৫-৭০ টাকা, মসুর ডাল ১৩০ টাকা, ছোলা ৮৫ টাকা, খেসারি ডাল ৯০ টাকা ও ডাবলি ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হতো। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের ডালে কেজি প্রতি ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

এছাড়া বাজারে সব ধরণের শাক-সবজির পাওয়া গেলেও দামে সন্তুষ্ট নয় ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই।

এক বিক্রেতা জানান, পুঁইশাকের আঁটি বিক্রি করতে হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়, পালংশাক ২০ টাকায়। একটি ফুলকপির দাম হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা।

এক ক্রেতা বলেন, এখন শীতের সময়। দামটা কম থাকা দরকার। কিন্তু অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার দাম বেশি। বাজার নাগালের মধ্যে আসার অপেক্ষায় মানুষ।

এবি/এইচএন

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

এমিতে ‘অ্যাডোলেন্স’-এর জয়জয়াকার

বাংলাদেশ সময় সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘোষণা করা হলো ৭৭তম এমি অ্যাওয়ার্ডস।...

লন্ডনে বাংলাদেশি মাকে ‘বর্ণবাদী’ মন্তব্য, ছেলের ওপর হামলা

লন্ডনে হামলার শিকার হয়েছেন এক বাংলাদেশি তরুণ। তরুণের ভাষ্য, তাঁর হিজাব পরা মা...

রাকসু নির্বাচনে কার কী প্যানেল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-রাকসু নির্বাচনের এ পর্যন্ত নয়টি প্...

হাত না মেলানো : ভারতের ব্যাখ্যা, পাকিস্তানের প্রতিবাদ

আগা সালমান-শাহিন আফ্রিদিরা হয়তো সেটা ভেবেই মাঠে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অপেক্ষায় ছিলেন...

বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে তিস্তার পানি

টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি আব...

গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল: জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন

গাজার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে ইসরায়েল। জাতিসংঘের একটি স্...

ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন নির্দেশনা

ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা আরও সুশৃঙ্খল করতে সরকারি হাসপাতালগুলোকে নতুন নির্দেশনা...

ক্রীড়া পরিদপ্তরে দুদকের অভিযান

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি প...

এক লাফে ট্যারিফ বাড়ল গড়ে ৪০ শতাংশ

বন্দর ব্যবহারকারীদের আপত্তি উপেক্ষা করেই নতুন ট্যারিফের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়...

বগুড়ায় মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

বগুড়ার শিবগঞ্জে এক নারী ও তার কলেজপড়ুয়া ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা