রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনার জন্য অজ্ঞান করা শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসক ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে হাইকোর্টে পাঠানো তদন্ত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) এ প্রতিবেদনের ওপর হাইকোর্টে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
তদন্তে চিকিৎসক তাসনুভা মাহজাবিন ও অ্যানেসথেসিওলজিস্ট সৈয়দ সাব্বির আহমেদের দায়ের বিষয়টি উঠে আসে।
প্রতিবেদনে দায়ী ব্যক্তিদের পাশাপাশি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া আয়ানের বাবা-মাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং অনুমোদনহীন সব হাসপাতাল, ক্লিনিক বন্ধ করারও সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর বাড্ডার সাতারকুলের ইউনাইটেড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আয়ানের খতনা হয়। তখন তাকে অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে অজ্ঞান করা হয়। এরপর তার আর জ্ঞান ফেরেনি। ভুল চিকিৎসা এবং অবহেলার কারণে আয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করে পরিবার। এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় মামলা দায়ের করেন আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ। পরে এ ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কমিটি গঠন করলেও তাদের প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট হননি হাইকোর্ট। গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনার তদন্তে নতুন কমিটি গঠন করে দেন হাইকোর্ট। কমিটিতে তিন জন চিকিৎসক, দুই জন সিভিল সোসাইটির ব্যক্তি ও একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে রাখা হয়। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে আয়ানের মৃত্যুর পুরো ঘটনা তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
সোহওয়ার্দী হাসপাতালের অধ্যাপক ডাক্তার এ বি এম মাকসুদুল আলমকে এ কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরেও কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারলে গত বছরের নভেম্বরে উচ্চ আদালত ২০২৫ সালের ১২ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আমারবাঙলা/এমআরইউ
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            